পূজো মিটতে না মিটতেই শুরু হয়ে গেল ভোট পূজোর আয়োজন। আর এ ব্যাপারে যথারীতি এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। ৪ কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা তাঁরা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। এবার শুরু হয়ে গেল প্রচারের প্রস্তুতি।
কারা কারা থাকছেন প্রচারে?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন বলেই খবর, কিন্তু নির্দিষ্ট কর্মসূচি এখনও প্রকাশিত নয়। তবে তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো থাকছেনই, এবং বেশ জাঁকজমক সহকারে অনেকগুলি জায়গায় প্রচারে অংশ নেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৪ কেন্দ্র দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দা ও গোসাবায় আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে ইলেকশান কমিশন। সেই উপলক্ষ্যেই প্রচারপর্ব চালু করতে চলেছে তৃণমূল। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুর্গাপূজোর কারণে ২০ তারিখের পরেই প্রচার শুরুর কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রকাশ্যে প্রচার না চালালেও বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ ইতমধ্যেই সারা। এখন কোমর বেঁধে যুদ্ধের প্রস্তুতি।
আগামী ২৩ অক্টোবর থেকেই প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এবারেও প্রচারসভা আলো করে থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমদিনই খড়দা এবং গোসাবায় সভা করার কথা অভিষেকের। এরপর ২৫ তারিখ অভিষেকের প্রচারস্থল দিনহাটা। ২৬ অক্টোবর শান্তিপুর।
গত উপনির্বাচন থেকেহ তৃণমূলের আগাম প্রস্তুতি তাক লাগিয়ে দিচ্ছে রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে। আগামী ৩০ তারিখেও যে তৃণমূল কংগ্রেসই ৪ কেন্দ্রে ছক্কা হাঁকাবে, দলের হাবভাব দেখে সেটাই মনে হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয়।
তারই মধ্যে দিনহাটায় বিজেপি শিবিরে দেখা দিল বড়সড় ভাঙন। উপনির্বাচনের আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কোচবিহার জেলা সম্পাদক সুদেব সরকার। সঙ্গে নিয়ে গেলেন দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের একঝাঁক কর্মী ও নেতা। ফলে দিনহাটার পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই ঘাসফুলের আবহাওয়া। বাকি ৩ কেন্দ্রের অবস্থা কি দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার।