শুক্রবার দুপুরে পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি শিয়া মসজিদে ভয়ানক আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাও ৫০ এর বেশি, তার মধ্যে ১০ জনের অবস্থা ভীষণ সংকটজনক।
পেশোয়ারের কিসসা খাওয়ানি বাজারস্থিত একটি শিয়া মসজিদে শুক্রবার দুপুর নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে। মসজিদের ভেতরে সকলে তখন জুমার নামাজ পড়েছিলেন। সেইসময়েই কোনো এক দুষ্কৃতী মসজিদে ঢুকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটায়। এখনও কোনও জঙ্গি সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করার বার্তা দেয়নি। প্রসাশনিক নির্দেশে তদন্তের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানিয়ে সত্বর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার বিষয়টিও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বলেন।
বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পর স্থানীয় ব্যক্তিরাই ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে গাড়ি এবং বাইকে করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে তাদের ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়ার্ডে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
পুলিশসূত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে। দুজন দুষ্কৃতী লুকিয়ে মসজিদে ঢোকার চেষ্টা করছে দেখেই পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। উভয় দিক থেকেই গুলি বিনিময় চলতে থাকে। এরপরেই তারা মসজিদের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে, এবং তুমুল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মসজিদ সহ স্থানীয় এলাকা। আশেপাশের ঘরবাড়ির জানলাও বিস্ফোরণে ছিটকে গিয়েছে।
প্রতক্ষদর্শীরাও পুলিশের বয়ানের সপক্ষেই মতামত দিয়েছেন। জাহিদ খান নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “দুই ব্যক্তি মসজিদে ঢোকবার আগে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে দেখেছি আমি। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বড় বিস্ফোরণ হলো।”
দুষ্কৃতীদের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পেশোয়ারের নিরীহ ৫০ মানুষের মৃত্যু এইমূহুর্তে চরম অমানবিক ঘটনার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। খোদ পাকিস্তানের অভ্যন্তরেই ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সচেতন মহলে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।