বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলার রাজনীতি। ঘটনায় ইতিমধ্যেই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৎপর হয়েছে বাংলার প্রশাসন। উল্টোদিকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির জোরালো দাবী শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন এবং অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তারই মধ্যে জনগণের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন এই ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের বক্তব্য কী?
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ‘বুদ্ধিজীবি মঞ্চের’ সাথে যুক্ত একাধিক শিল্পী ও বোদ্ধা ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎ ও মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও সকলের প্রতিক্রিয়া এখনও স্পষ্টরূপে প্রকাশ্যে আসেনি। তবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নিকট-ব্যক্তি বলে পরিচিত চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন এক সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি বাইরে ব্যস্ত থাকায় বীরভূমের ঘটনাটি সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল নন।
তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, ‘একজনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে এতজনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা বিরল। এসব বন্ধ হওয়া উচিত।’
ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত এমনটা দাবি করে পাশাপাশি এও বলেছেন শুভাপ্রসন্ন, ‘আমাদের কত সৌভাগ্য যে, মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনেককিছু ভালো হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধীরা নানানভাবে সুযোগ নিচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি সমগ্র ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে দায়ী করলেও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামের খুন ও অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে চক্রান্ত বলেই উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি আজ নিজেই বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা কথা ঘোষণা করেছিলেন।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের একটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যম ও গণমাধ্যমের প্রতি প্রশ্ন তোলেন, তাঁর কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী ও একাধিক জনহিতকর প্রকল্পের কথা সরিয়ে রেখে কোথায় একটা মৃতদেহ রয়েছে সেটাই বারবার কেন দেখানো হচ্ছে? একইসাথে, ঘটনায় জড়িত দোষীদের কোনওভাবেই ক্ষমা করা হবেনা এটাও জোর গলায় বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।