ভালবাসার কাছে সবকিছুকেই পরাজয় মানতে হয়। এমনকি ভালবাসার পাত্রকে নিজেদের জীবনে গ্রহণ করার জন্য ধর্মও ত্যাগ করেন অনেকে। করতে হয় সামাজিক নিয়মেই, আইনের দেওয়া বিধানে। তবে সম্প্রতি হিন্দু ভারতীয় অবিনাশ এবং মরক্কোনিবাসী মুসলিম ফাদওয়া অন্য এক নজির তৈরি করলেন সম্পূর্ণ বিপরীত রাস্তায় হেঁটে। আর এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবিনাশ দোহরা ও ফাদওয়া লামালি এখন এক চর্চিত নাম। বিয়ে করলেন কিন্তু নিজেদের ধর্ম ত্যাগ করতে সম্মত হননি দুজনের কেউ। আর এই জেদ থেকেই স্বধর্মে স্থিত ভালবাসার বিজয় ঘোষিত হল। দুজনের বিয়ের খবর এই মূহুর্তে ভাইরাল।
পাত্র অবিনাশ দোহরা গোয়ালিয়রের অধিবাসী। আর পাত্রী ফাদওয়া লামালির বাড়ি সুদূর মরক্কোয়। দুজনের আলাপই হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। দিনে দিনে নিবিড় হয় প্রেম। অবশেষে পাণিগ্রহণের জন্য মরক্কোতে যখন পৌঁছলেন অবিনাশ, বেঁকে বসলেন কন্যা ফাদওয়ার বাবা আলি লামালি। বিয়ে দিতে তাঁর আপত্তি নেই, তবে শর্ত রাখেন হিন্দু ধর্ম ও ভারতের বাসস্থান ছেড়ে অবিনাশকে মরক্কোয় চলে আসতে হবে। এই প্রস্তাবে রাজি হননি অবিনাশ দোহরা। তিনি স্পষ্টতই জানান, “আমি আমার ধর্ম আমার দেশ ছাড়বনা। আপনার মেয়েকেও ধর্মান্তরিত করবনা।”
অবিনাশের প্রেমিকা ফাদওয়াও একই মতামত রাখেন। বলা বাহুল্য, এতে প্রথমে রাজি হননি কন্যার পিতা আলি লামালি। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাত্রপাত্রীর জেদের কাছে নতিস্বীকার করতেই হল। ডিডিএলজের – সিমরানের বাবার মতোই বলতে হল — “যা বেটি, যা! জি লে আপনি জিন্দেগী!”
মরক্কো থেকে চলে এসেছেন পাত্রী ফাদওয়া। কেউ কারুর ধর্মমত না পাল্টেই করলেন বিয়ে। এমনকি তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানালো এডিএম আদালত। রেজিস্ট্রির পর হিন্দুমতে বিয়েও করতে চলেছেন। ‘হিন্দু বা মুসলিম’ নন, অবিনাশ এবং ফাদওয়া। কেননা, ধর্ম যার যার…