চারপাশে রোজ অবাক করা কতকিছুই না ঘটে! তবে এই ঘটনাটি যাবতীয় বিস্ময়ের মাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে। রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়ে এক যুবকের মাথায় হাত। রিপোর্টে বলছে তিনি অন্তঃসত্ত্বা!
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কুমিল্লার অন্তর্গত দাউদকান্দি এলাকায়। বিদেশ যাত্রার আগে জরুরি রক্তপরীক্ষা করাতে গিয়ে রিপোর্ট হাতে পেয়ে যুবকের চক্ষু চড়কগাছ! সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেছেন, “গত মঙ্গলবার আমি রক্ত দিয়েছিলাম। এই রিপোর্ট পেয়েছি বৃহস্পতিবার। তাতে বলা হয়েছে আমি অন্তঃসত্ত্বা। রিপোর্ট সংশোধন করার আবেদন জানালেও রবিবার বিকাল পর্যন্ত নতুন রিপোর্ট পাইনি। ওই রিপোর্ট সংশোধন করারও ব্যবস্থা করা হয়নি।”
ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ করায় ল্যাবের টেকনিশিয়ান ক্ষমা চেয়েছেন। তবে বিদেশযাত্রার আগে এই রিপোর্টে হেপাটাইটিস বি আছে কিনা এটা জানা অত্যন্ত জরুরি। সেকারণেই রক্তপরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন তিনি। একে তো এই চরম বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট, তার ওপর নতুন রিপোর্ট না পেলে সমস্যায় পড়েছেন যুবক।
এই প্রসঙ্গে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ল্যাবের দায়িত্বে থাকা টেকনোলজিস্ট মহম্মদ মকবুল হোসেন জানান, “রক্তপরীক্ষা করে কেউ অন্তঃসত্ত্বা কিনা তা জানা যায়না। আর যিনি রিপোর্ট পেয়েছেন তিনি তো ছেলে! সেদিন প্রচন্ড ভিড় ছিল, তাই হয়তো ভুলবশত এই রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।”
মুশ্কিল হলো, যিনি রিপোর্ট পেয়েছেন তিনি নিজেও জানেন তিনি ছেলে, আর এটাও জানেন যে, অন্তঃসত্ত্বা কিনা জানবার জন্য রক্তপরীক্ষা করাননি তিনি। ভিড় বেশি ছিল বলে দিনেদুপুরে এক তরতাজা যুবককে অন্তঃসত্ত্বা বানিয়ে দেওয়া হবে এটা কেমন যুক্তি?
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অফিসার মহম্মদ তৌহিদ আল হাসান বলেন, “হেপাটাইটিস বি পরীক্ষা করতে গিয়ে কোনও ছেলের অন্তঃসত্ত্বার রিপোর্ট আসা উচিত নয়। রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন এই মারাত্মক ভুল হলো সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।” তিনি জানিয়েছেন এই ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেব্যাপারে ল্যাবের সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হবে।