কানপুরের সুগন্ধি ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দপ্তর হানা দিয়ে কোটি কোটি কালো টাকা উদ্ধারের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নামহীন ভাবেই সমাজবাদী পার্টির দিকে ইশ্গিত করে বলেছিলেন, “২০১৭-র আগে পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে যারা দুর্নীতির গন্ধ ছড়িয়েছে, এখন তারা চুপ করে বসে আছে।”
ঘটনাক্রমে আর চুপ করে থাকলেননা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেই আঙুল তুলে সরব হলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে বিরোধীদের হয়রান করার অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন অখিলেশ।
আসলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ঠিক পরেই ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়ি থেকে কালো টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাকেশ ত্রিপাঠী সরাসরি আঙুল তুলে বলেছিলেন, “এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমমাজবাদী পার্টির শেল্টারে রয়েছেন। এই পার্টি বিভিন্ন দুষ্কৃতী ও দুর্নীতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পায়।”
এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বনাম সমাজবাদী পার্টির চাপানউতোর চলছিলই। এরপর, ‘সমাজবাদী সুগন্ধির’ মালিক পুষ্পরাজ জৈনের বাড়িতে আয়কর হানার পরেই মুখ খুললেন অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখব কীভাবে বিরোধীদের হেনস্থা করতে এবং গণতন্ত্রকে উপহাস করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে।”
নাম নিয়ে একটি বিভ্রান্তির প্রসঙ্গও তুলেছেন অখিলেশ যাদব। পুষ্পরাজ জৈনের বাড়ি তল্লাশি প্রসঙ্গে পীযুষ জৈনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকার প্রথমে ভুল ব্যক্তির বাড়ি তল্লাশি চালায়। পরে সেই ভুল ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই দ্বিতীয় জন, অর্থাৎ সমাজবাদী পার্টির বিধান পরিষদের সদস্যের বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর দপ্তর।”
এর দ্বারা অখিলেশ বোঝাতে চান, আয়কর দপ্তরের টার্গেট ছিল অখিলেশ ঘনিষ্ঠ P.Jain(পুষ্পরাজ) কিন্তু ভুল করে বিজেপি ঘনিষ্ঠ অন্য P.Jain(পীযূষ)-এর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর।
অর্থাৎ ১৫০ কোটি কালো টাকাসমেত যিনি ধরা পড়েছেন তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেই সেদিক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলেই দাবি করেছেন অখিলেশ যাদব। যদিও পীযূষের সাথে ঘনিষ্ঠতার কথা বিজেপি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে একশো আশি ডিগ্রী বিপরীত অবস্থানই নিয়েছে, দেখা যাচ্ছে সেটাই।