উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে রেকর্ড জয় বিজেপির। চলতি হাওয়া বলে দিচ্ছে এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত ছিলনা। যে রাজ্যে হাথরস কান্ডের প্রকাশ্য বীভৎসতার পরেও নির্যাতিতার পরিবারকে নিজের গ্রামেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো নির্বাসিত করে রাখা হয়, সেই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল নিরঙ্কুশভাবে জিতবে এটা জানা ছিল বলেই মনে করছেন সচেতন মহলের একাংশ।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির পরাজয় প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্পুর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “দিদিমণি গিয়ে উল্টোপাল্টা হিন্দী বলে অখিলেশের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।”
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের কথাবার্তা চিরকালই রাজনৈতিক শালীনতার গন্ডি ছাপিয়ে যায়, কখনো তা আবার হাস্যরসেরও উদ্রেক করে। তেমনই উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ ছুঁড়েছেন। পাঞ্জাব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টিকে জিতিয়ে সেখানকার মানুষ একটা এক্সপেরিমেন্ট করছে।” পাশাপাশি কংগ্রেসের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকেও বিঁধেছেন তিনি।
গোয়ার না জিতলেও তৃণমূলের ভোটের পারসেন্টেজ নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল। সেদিকে অবশ্য ভ্রূক্ষেপ করেননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “হাওয়ায় উড়ে গিয়ে কেউ যদি টাকাপয়সা খরচ করেন, লোক ভাড়া করে কেউ যদি মনে করেন পার্টি দাঁড়িয়ে যাবে, সেটা সম্ভব নয়। ত্রিপুরাতেও হয়নি, গোয়াতেও হবেনা।”
তবে ফলাফলের আগে পাঞ্জাব সম্পর্কে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথেই জেতার ঘোষণা করেছিলেন দিলীপবাবু, যেটা একেবারেই মেলেনি। ফলপ্রকাশের পর ‘এক্সপেরিমেন্ট’-এর দোহাই দিয়েছেন। তেমনই ‘এক্সপেরিমেন্ট’ থিওরি চালিয়েছেন মাদক কান্ডে অভিযুক্ত পামেলা গোস্বামীকে বিজেপির যুব মোর্চার কালচারাল সেলের ইনচার্জ করা প্রসঙ্গে।
দিলীপ ঘোষ স্বকীয় ভঙ্গিতেই বলেন, “ঠিকই আছে। দলে নতুন লোক আনা হচ্ছে। এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক জগতের মানুষদের সাংস্কৃতিক পদেই বসানো উচিত।”
তবে সামগ্রীক বিবেচনায় তৃণমূল কংগ্রেস ভিনরাজ্যে ভোটে জেতা নয়, সংগঠনের বিস্তৃতিলাভকেই গুরুত্ব দিয়েছে। সেবিষয়ে ফলাফল আশাজনক হয়েছে বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির।