গত ৭ দিনের তীব্র আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার পর কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা পেলেন ভারতীয়রা। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে থাকা পড়ুয়াদের সুরক্ষিত ভাবে দেশে ফেরানো নিয়েই এই মূহুর্তে উদ্বিগ্ন ভারত। জটিল পরিস্থিতির মধ্যে তাদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটা বড় ধাপ পেরোনো গেল। গতকাল সেই বার্তাই দিলেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শৃঙ্গলা।
গতকাল একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ভারতের সমস্ত নাগরিকদেরই বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। কিয়েভে আর কোনও ভারতীয় আটকে নেই, দাবি সহকারে জানিয়েছেন তিনি। এর সপক্ষে অনুসন্ধান করে দেখা এক রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি জানান, “আমাদের সঙ্গে আর কোনো ভারতীয় সেখান থেকে যোগাযোগ করেননি।” বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শৃঙ্গলা আরো বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা পাওয়ার পর ইউক্রেনে অবস্থিত প্রায় ২০ হাজার ভারতীয়দের মধ্যে ৬০ শতাংশই বেরিয়ে এসেছেন।” সংখ্যার অনুপাতে দেখতে গেলে ১২ হাজার মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করেছেন। বাকি ৮ হাজার জনের মধ্যে বেশিরভাগই খারকিভের কনফিক্ট জোনে রয়েছেন। এছাড়া অন্যান্যরা ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েকটি ঘন্টার চরম উত্তেজনার মূহুর্তে, যখন সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ছাত্রদের ওপর ইউক্রেন সেনাদের ধরপাকড় ও বাধা নিষেধের খবর পাওয়া যাচ্ছিল, ঠিক তার পরেই অর্থাৎ ১-লা মার্চ সকালেই পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অরিন্দম বাগচী একটি কনফারেন্সে ভারতীয় ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের রুটম্যাপ নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন।
তিনি জানিয়েছিলেন সরাসরি বর্ডার ক্রস না করে ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্ত অথবা তার আশেপাশের শহরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন ভারতীয় পড়ুয়ারা।
এদিন বিদেশ সচিবের বার্তাতেও সেইদিকটি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর খবর জানিয়েও সমবেদনা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রক। মৃত ছাত্রের নাম নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধর।
এই মূহুর্তে ভারতীয় পড়ুয়াদের অধিকাংশই ইউক্রেন অথবা তার রাজধানী কিয়েভ থেকে রওনা দিলেও, কনফ্লিক্ট জোনে থাকা ভারতীয়দের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। সত্বর তাদের ফিরিয়ে আনার অপেক্ষায় রয়েছে ভারত।