এইমূহুর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি একাধিক দিকে আঙুল তুলেছে। মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটির একটি বোরখা পরা মেয়ের তীব্র প্রতিবাদ সজাগ করে তুলেছে গোটা ভারতবর্ষের সাংবিধানিক অধিকার, ধর্মীয় চেতনাকে।
কেউ বলছেন হিজাব পরতে বাধা দেওয়া মানে মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ, পাশাপাশি এই ঘটনাকে মুসলিম মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
একদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মালালা ইউসুফজাই, জাভেদ আখতার সহ একাধিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক ও সমাজকর্মী সরব হয়েছেন। তেমনই এই বিষয়ে জোরালো মতামত দিয়েছেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র কুমার বসু।
তিনি স্পষ্টতই বলেন, “মূল ইস্যুটা হিজাব নয়, আসলে সামাজিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণই মূল উদ্দেশ্য।” পাশাপাশি গেরুয়া পোশাকধারী দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে তিনি জোরালো দাবি তুলেছেন, “গেরুয়া পবিত্র রঙ, এই রঙকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বন্ধ করুন!”
এই বক্তব্যে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করলেও মন্তব্যের লক্ষ্য যে বিজেপি, এটা বুঝে নিতে কারুর অসুবিধা হয়না। উল্লেখ্য, নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র কুমার বসু ২০১৯ সালে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে বিজেপিরই প্রার্থী হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। জিততে না পারলেও, তাঁর জন্যেই কলকাতায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট টানতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। চন্দ্র কুমার বসুই একটি অমূল্যসম্পদ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ব্যবহৃত টুপি উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীর হাতে।
এরপর বিজেপি নির্ধারিত এনআরসি ও সিএএ ইস্যু নিয়ে তাঁর সাথে দলের মতান্তর শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল যে নেতাজির চিন্তাভাবনার পরিপন্থী, একথাই জোরালোভাবে বলে এসেছেন তিনি। আজ আরো একবার কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কে মুখ খুলেছেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র কুমার বসু। তিনি ট্যুইট মারফত দাবি তুলেছেন, “ধর্মীয় চিহ্নকে যেসমস্ত দল রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে, অবিলম্বে সেসব দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। ”