রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও অব্যাহত। মাঝেমাঝে সাময়িক বিরতি দিলেও পরক্ষণেই যুদ্ধের নানারকম নতুন কৌশল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে রাশিয়া। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস রিজিওন দখলে বদ্ধপরিকর রুশবাহিনী। যুদ্ধের তীব্রতাও সেই নিরিখে বাড়ছে। এটা স্পষ্ট, আমেরিকার পরোক্ষ ভূমিকা না থাকলে এতদিন ধরে যুদ্ধে পাল্লা দেওয়ে ইউক্রেনের পক্ষে হয়তো সম্ভব ছিলনা। অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ তো আমেরিকা করেই আসছে। তারই মধ্যে শোনা গেল আশ্চর্য এক খবর! ভূত পাঠাচ্ছে আমেরিকা!
চোখে সর্ষেফুল দেখার প্রবাদ আমরা জানি। তবে এটা কোনও প্রবাদ বা রূপক নয়, একেবারে আক্ষরিক অর্থেই আমেরিকার পাঠানো ভূত দেখতে চলেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে পাঠানো ৮০ কোটি ডলারের সামরিক অস্ত্রের মধ্যেই একটি ভূতও রয়েছে।
নানান অস্ত্রসম্ভারের সাথে একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বোমারু ড্রোন পাঠাচ্ছে আমেরিকা, যার নাম ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’। ‘ফিনিক্স’ এক রূপকথার পাখি, ‘ঘোস্ট’ অর্থ ভূত সেতো সকলেই আমরা জানি। যেটা জানিনা, রাশিয়ার পক্ষেও আগাম আন্দাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা –কতটা ক্ষমতাধর এই অত্যাধুনিক উড়ন্ত বোমারু ড্রোন। তবে এর চালচলনটাই ভৌতিক, এমনটা আন্দাজ করা যেতে পারে।
এপর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যায়েভেক্স অ্যারোস্পেস সংস্থা এই ড্রোনটি নির্মাণ করেছে। ডনবাস রিজিওনের সমতলভূমি বিবিধ খনিজসম্পদে পরিপূর্ণ, তেমনই কিছু পর্বত ঘেরা এলাকাও এই অংশে রয়েছে, যেখানে হামলা চালানোর জন্য বিশেষ উপযুক্ত এই বোমারু ড্রোন। কেননা উড়ন্ত অবস্থায় পর্বতের খাঁজে লুকিয়ে থাকা টার্গেটকেও খুঁজে বের করে হামলা চালাতে পারে এই ড্রোন –ফিনিক্স ঘোস্ট।
হামলার পাশাপাশি ক্যামেরায় ছবি তুলে রাখারও আশ্চর্য ক্ষমতা এই ভৌতিক ড্রোনের রয়েছে। এখন সরাসরি ভূতের সম্মুখীন হলে রুশবাহিনী কীভাবে তার প্রতিরোধ করতে পারে সেটাই দেখার।