আকাশে কত মহাজাগতিক বিস্ময়ই না লুকিয়ে আছে। বছরের পর বছর ধরে চলেছে তার অনুসন্ধান। হয়তো আজ যে রহস্যময় আলো আজ আমাদের চোখে ধরা পড়ছে, তা এখানে পৌঁছতেই সময় লেগে গিয়েছে কয়েক কোটি বছর!
মহাকাশেরই এক ছায়াপথের ভাসমান পৃথিবী নামক নীল গ্রহ থেকে নিরন্তর খোঁজ চলছে রহস্যের। তেমনই এক বিস্ময়কর রহস্য সম্প্রতি ধরা পড়ল ‘হাবল টেলিস্কোপে।’ যেখানে দেখা যাচ্ছে দুটি গ্যালাক্সি মুখোমুখি ধাক্কা খেয়ে পরস্পর মিলিত হচ্ছে , আর তা এক আশ্চর্য আলোকদ্যুতিতে অদেখা এক রূপ নিয়েছে। এই রূপটির ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করেছে NASA. মহাকাশ গবেষকরা এর নাম দিয়েছেন ‘অ্যাঞ্জেল উইং!’ অর্থাৎ পরীর ডানা।
সোশ্যাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে এই ছবি। যাঁরাই দেখছেন অবাক হচ্ছেন। তারকা খচিত জ্বলজ্বলে দুটি গ্যালাক্সি মুখোমুখি এসে ঠিক যেন দুপাশে ছড়িয়ে দিয়েছে দুটি ডানা। ফুটে উঠেছে তারই প্রতিচ্ছবি। Nasa-র হাবল টেলিস্কোপ VV-689 এই ছবিটিকে ক্যাপচার করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন দুটি গ্যালাক্সির মধ্যে যখন একইভাবে পরস্পর সংঘর্ষ হয়, তার ফলাফল প্রতিসম হবার কারণেই সমান দুটি চিত্ররূপ ফুটে ওঠে, ‘পরীর ডানাও’ ঠিক তাই। প্রসঙ্গত, NASA-র এই ‘হাবল টেলিস্কোপটিও বিশেষত্বে অনন্য। জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১৯৯০ সালে এই বিশেষ টেলিস্কোপটি লঞ্চ করা হয়। আমেরিকান জ্যোতির্বিদ এডউইন হাবল-এর স্মরণে এই টেলিস্কোপটির নামকরণ করা হয়। বিগত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে ‘হাবল টেলিস্কোপ’। মহাকাশের মানমন্দির, বৃহস্পতির বিধ্বংস ধূমকেতু, প্লুটোর চারপাশের উপগ্রহ –এমনই সব বিচিত্র চিত্রমালা ধরে রেখেছে ‘হাবল টেলিস্কোপ।’ পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে থাকা নক্ষত্রের সন্ধান দেওয়ার রেকর্ডও রয়েছে এই টেলিস্কোপের। যার মধ্যে সাম্প্রতিক সংযোজন ‘পরীর ডানা।’