বুধবারই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। সেই উদ্দেশ্যে অনুব্রত মন্ডল এসেওছিলেন কলকাতায়। মঙ্গলবারই পৌঁছেছেন। কিন্তু কলকাতায় এসেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল সংগঠক ‘কেষ্ট।’
বুধবার অনুব্রত মন্ডল এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হবার পরেই তাঁর আইনজীবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে সেই খবর জানান।
উল্লেখ্য, গরুপাচার কান্ডে জড়িত সন্দেহে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে বুধবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সেইমতো প্রস্তুতি নিয়ে আগেরদিন রাতেই কলকাতায় এসে অনুব্রত তাঁর চিনার পার্কের বাড়িতে এসে ওঠেন বলেই খবরে প্রকাশ।
সকালে সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে যাবার আগেই বুকের ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। বেলা দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রাথমিক টেস্টের পরেই হাসপাতালে ভর্তি হবার সুপারিশ করেন চিকিৎসক। উডবার্ন ওয়ার্ডের ২১১ নম্বর কেবিনে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
সিবিআইয়ের ডাকে পৌঁছতে না পারার জন্য অনুব্রত মন্ডল গভীর আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, “সদিচ্ছা ছিল যাওয়ার, কিন্তু যেতে পারলামনা।”
হার্টের সমস্যা রয়েছে অনুব্রতর, সাথে ফিসচুলার সমস্যাতেও ভুগছেন। অক্সিজেন দিতে হয়েছে এবং বেশ কয়েকদিন ভর্তি থাকতে হবে বলেই হাসপাতাল সূত্রে প্রকাশ। অবশ্য সিবিআই থেকে কেউ হাসপাতালে এলে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন অনুব্রত মন্ডল।ওদিকে সিবিআইয়ের দপ্তরে যাওয়ার আগেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় বিরোধী হাওয়াও সচল হয়ে উঠেছে।
তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ অবশ্য এব্যাপারে নিজের মতামত প্রকাশ করেননি। তিনি জানান, “অনুব্রতর অসুস্থতা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারবনা। সেটা ওঁর চিকিৎসক এবং আইনজীবি বলতে পারবেন।” কুনাল আরো বলেন, “আমাকে সিবিআই ডাকলে আমি যেতাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিবিআইয়ের ডাকে হাজিরা দিয়েছেন। অনুব্রত কী করবেন সেটা ওঁর চিকিৎসক ও আইনজীবিই ঠিক করবেন।”
নিজের বক্তব্যে নিজেদের সাথে অনুব্রতর তফাৎ বুঝিয়ে সামান্য খোঁচা দিয়ে রাখলেন কি কুনাল ঘোষ? সেটা ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে।