সম্প্রতি এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। সিবিআইয়ের জেরা এড়াতেই হাসপাতালে ভর্তির ফন্দিফিকির! তাই নিয়ে একচোট রসিকতা তাঁর দলে এবং বিরোধী দলের মধ্যে চলছিলই।
ইতিমধ্যে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় অনুব্রত মন্ডলের অসুখটি রীতিমতো জটিল, তাঁর দুটি অন্ডকোষে পুঁজ জমেছে। এই অসুখের কথা প্রচারিত হবার পর থেকেই নেটদুনিয়ায় চটুল হাসি তামাশার বন্যা বইতে শুরু হয়। নেটিজেনদের এই ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তৃণমূলের তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
পোস্টে দেবাংশু প্রশ্ন তুলেছেন, “একটা মানুষের নিম্নাঙ্গে কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং কিছু প্রগতিশীল সাংবাদিক সেটা নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করছেন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। অদ্ভুতভাবে সেই বিদ্রূপকারীদের মধ্যে অধিকাংশ বাম্বিজেপি সমর্থক নারী! অনুব্রত মন্ডল পুরুষ বলে তাইনা?”
এরপরেই দেবাংশু তাঁর ক্ষোভ উজাড় লিখেছেন, “আমি শুধু ভাবছি এই একই জিনিস যদি কোনো বিরোধী রাজনৈতিক নেত্রীর ক্ষেত্রে হত! জায়গাটা যদি অন্ডকোষের বদলে ইউটেরাস কিংবা ব্রেস্ট হত, কিংবা হত নিম্নাঙ্গের প্রপার কোনও জায়গা! এবং সেটা নিয়েই আমরা বিদ্রূপ শুরু করতাম…!”
দেবাংশুর এই বক্তব্যে শালীনতা একটু মাত্রা ছাড়িয়েছে, সেটা বিরোধী দলের একাংশ মনে করছেন। কেননা একটি পুরুষকে যা প্রকাশ্যে বলা যায় একজন নারীর ক্ষেত্রে তা অবমাননাকর বলেই সাধারণত বিবেচিত হতাই পারে। আবার উল্টোদিকে নারীপুরুষ সমান দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে দেবাংশুর যুক্তিও নেহাত ফেলনা নয়।
‘ফেসবুকীয় বুদ্ধিজীবিদের’ একচোট ভালোমত রগড়ে নিয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য আরও বলেন, “রাজনৈতিকভাবে কেউ আপনার পছন্দ বা অপছন্দের মানুষ হতে পারে, তা বলে তার শারীরিক সমস্যা নিয়ে ব্যঙ্গ করার অধিকার কি আপনার জন্মায়? আর এইসমস্ত ব্যঙ্গবিদ্রূপ করার পরেও নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করার অধিকার কি আপনার থাকে?”
প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এর উত্তর বিরোধী দল এবং যাঁরা অনুব্রতর অসুখ নিয়ে রসিকতা করে চলেছেন, উত্তরটাও তাঁরাই দিতে পারবেন।