১৭ দিন পর অবশেষে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ছাড়া পেলেন অনুব্রত মন্ডল। তাঁকে ঘিরে সিবিআই সাক্ষাৎ নিয়ে যাবতীয় জল্পনার এখনও নিরসন হয়নি। ওয়াকিবহল মহলের একাংশের মতে হাসপাতাল থেকে বেরোনার সাথে সাথেই সিবিআইকে এড়ানোর কৌশল তিনি করেই রেখেছেন।
অবশ্যই অনুব্রতর অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারটা যে ভাঁওতা ছিলনা, এতদিনে সেই আপডেট জনসাধারণ পেয়ে গিয়েছেন। দুটি অন্ডকোষে পুঁজ জমায় অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা চলছিলই, হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাও জটিল আকার নিয়েছিল। এখনও সেই সমস্যা থেকে রেহাই মেলেনি পুরোপুরি।
এদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার আগেও ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মচারিদের জন্য ঢালাও মিষ্টিমুখের আয়োজন করেন বীরভূমের দিলদরিয়া নেতা ‘কেষ্টদা।’ ছাড়া পেয়ে বাড়ি যেতে পেরেই তিনি ব্যাপক খুশি। যদিও বাড়িতে অন্তত তাঁকে সম্পূর্ণ বেডরেস্টে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক।
অনুব্রত মন্ডলের দুটি আর্টারিতেই ৬০-৭০ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে। ডাক্তারের কড়া নির্দেশ, ১ মাস কারুর সাথে দেখাসাক্ষাৎ, বাইরে কোথাও যাওয়া একেবারে নিষেধ। সুতরাং আগামী একমাস নিন্দুকদের জল্পনাকে আরো একবার উস্কে দিয়ে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল সিবিআইয়ের নাগালের বাইরেই থাকছেন।
হৃদপিন্ডের মাংসপেশি ও রক্তপ্রবাহ স্বাভবিক হচ্ছে কিনা তা বোঝবার জন্য একমাস পর অনুব্রতকে ‘মায়োকার্ডিয়াল পারফিউসন ইমেজিং’ টেস্ট করাতে হবে। রক্তপ্রবাহের সমস্যা না কমলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানোর আগাম পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন উডবার্নের চিকিৎসক।
সবকিছু জানাসত্ত্বেও হাসাপাতালে থেকে ছুটি মানেই আনন্দে ভরপুর অনুব্রত মন্ডল। হাসপাতালসুদ্ধ সকলকে অঢেল মিষ্টি খাইয়ে একটি গেরুয়া গেঞ্জি গায়ে অনুব্রত মন্ডল এদিন হাসপাতাল থেকে ছুটি পান।