গোপনীয়তার কোনও জায়গাই নেই। সপাটে প্রশ্ন, ‘আপনি কি জঙ্গি?’ নিচে দুটো অপশান, হ্যাঁ অথবা না। এর যেকোনো একটিতে ক্লিক করলে তবেই ঢুকতে পারবেন নাহলে নয়।
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এটা কীরকম ব্যাপার! আমেরিকান বিমানবন্দরের সিকিউরিটি সংক্রান্ত একটি ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করে এভাবেই সকলকে চমকে দিয়েছেন রজত সুরেশ নামের এক ব্যক্তি।
পোস্টটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। তেমনই মিলেছে নানাধরনের প্রতিক্রিয়া। ছবিটি আসলে এক সেল্ফ-চেক-ইন কাউন্টারের ছবি।
এই কাউন্টারে কোনো ব্যক্তি নিজেকেই নিজে চেক করাবেন। এখানকার নিয়ম অনুযায়ী একটি ধাপে সিস্টেমে ওপরের প্রশ্নটি দেখাবে ‘আপনি কি সন্ত্রাসবাদী?’
উত্তরের জন্য দুটি অপশন বার। ‘ইয়েস’ অথবা ‘নো’। এই ছবিটি রজত সুরেশ নামক একজন ট্যুইটকারী ব্যক্তি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘নিরাপত্তার প্রশ্নে বিমানবন্দর আরো সোজাসাপটা হয়ে উঠছে।’
এটাকে একটা প্র্যাকটিক্যাল জোক হিসেবে নিয়েই মেতে উঠেছেন নেটিজেনরা। এ যেন নিজেকে এবং সিস্টেম ও সন্ত্রাসবাদকে একসাথে বিদ্রূপ! জোকটি হলো ‘জঙ্গিরাও নিজেদের পেশার প্রতি সৎ ও একনিষ্ঠ থাকবে। তাই এয়ারপোর্টে ঢোকার আগে জানিয়ে যাবে যে তারা জঙ্গি।’
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের বিস্মিত করেছে।কমেন্টে অনেকে জানতে চান, ‘এধরনের প্রশ্ন বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অবদান রাখবে, কিন্তু কীভাবে?’
‘ধরা যাক সম্পূর্ণ সততা বজায় রেখে যদি কেউ ‘হ্যাঁ’ বোতামটিই চাপেন, তারপর তার কী হবে?’এই প্রশ্নও রেখেছেন একজন। তার রিপ্লাই দিয়ে একজন লেখেন, ‘কী হয় সেটা দেখার জন্য আমি অবশ্যই একবার হ্যাঁ-তে ক্লিক করব।’
আরেকজনের প্রশ্ন, ‘যদি কেউ মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে তাঁকেও কি এমন প্রশ্ন করা হয়?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যে সত্যিই জঙ্গি হবে সে কি এখানে জানিয়ে যাবে?
কেউ কেউ ছবিটি এডিট করে হ্যাঁ এবং না-র সাথে আরেকটি অপশান যোগ করতে চান, ‘আনডিসাইডেড।’ অর্থাৎ এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি আমি জঙ্গি কিনা!’
তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়ে রিট্যুইট হয়েছে ছবিটিতে অপর একটি বোতামের উল্লেখ –‘কোনও ব্যক্তিই নিজের চোখে সন্ত্রাসবাদী নয়।’
রজত সুরেশের এই ট্যুইটটি এমনই অসংখ্য কমেন্ট, ৭ লক্ষ মাইক এবং প্রায় ৭৬ হাজার বার রিট্যুইট হয়ে ব্যাপক আকারে ভাইরাল হয়েছে।