সিকির দুইপিঠে দুইধরনের সত্য লিখিত থাকে। একদিকে যেমন ৯০ দশকে সন্ত্রাসের বলি হন কাশ্মীরি পন্ডিতরা, নিধনযজ্ঞ থেকে প্রাণ হাতে করে কাশ্মীর ছেড়ে পালিয়ে যান, তেমনই পরিস্থিতি শান্ত হবার পরেও তাঁদের ফিরে না আসতে পারা হাজারো প্রশ্নের জন্ম দেয়।
তথ্য বলছে, কাশ্মিরি পন্ডিতদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়িগুলোয় সিআরপিএফ বাহিনী তাদের ব্যারাক হিসেবে ব্যবহার করছে। ভারতের আধাসেনার বাহিনী দখল করে থাকায় কাশ্মীরি পন্ডিতরা ফিরতে বাধা পাচ্ছেন, এমন তথ্যও প্রচারিত।
সম্প্রতি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, “উপত্যকায় পন্ডিতদের ছেড়ে যাওয়া বেশকয়েকটি বাড়িতে সেনাশিবির রয়েছে। এর ফলে বাড়িগুলি সুরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু বাড়ির মালিকরা ফিরতে চাইলে সিআরপিএফ তাঁদের জায়গা ছেড়ে দেবে। কাশ্মীরি পন্ডিতরা ফিরতে চাইলে স্বাগত।”
কিন্তু এই বার্তা সত্ত্বেও কেন ফিরে আসছেননা তাঁরা? ফিরলেও, কতজন গৃহত্যাগী বা তাঁদের পরিবার ফিরেছেন? এই প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকার নীরব। তবে সিআরপিএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সম্প্রতি তাঁরা নিজেরাই প্রায় ১৭০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করছেন, গ্রেপ্তার ১৮২ জঙ্গি, সাথে ২৪৪টি মারণাস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই তথ্যই জঙ্গি কার্যকলাপের চলতি প্রভাব চিনিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় কাশ্মীরি পন্ডিতদের স্বভূমিতে ফেরা কতখানি নিরাপদ? কী ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য? এই প্রশ্নগুলোও স্বভাবতই উঠছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বর্ণিত ১৫০০ সংখ্যক বাড়ি নির্মাণ, সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি কাশ্মীরি পন্ডিতদের চাকরির প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তার নথিপত্র যদি থেকেই থাকে, তাহলে কতজন কাশ্মীরি পন্ডিত ফিরেছেন, এই প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকার নীরব কেন? এখানেই একটা প্রচ্ছন্ন সংশয় কাজ করছে।