প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হবার আগে বলেছিলেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে ষঢ়যন্ত্র কাজ করছে। বিশেষ করে বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে নমনীয় কাউকে চাইছে পাকিস্তান, যাতে সহজেই যেকোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়। উল্লেখ্য, ইমরান খানের কন্ঠে প্রায়শই ভারতের প্রশংসা শোনা যাচ্ছিল, এমনকি কাশ্মীর নিয়েও শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছিল। নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হবার সাথে সাথেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুললেন এবং ৩৭০ ধারা নিয়ে প্রশ্নবাণ ছুঁড়লেন ভারতের দিকে।
শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রীত্ব সমর্থনের পেছনে বিপুল সমর্থন দিয়েছিল পাকিস্তান পিপলস পার্টি, মুত্তাহিদা-মজলিস-ই-আমল এবং আরো কয়েকটি দল। মোট ১৭৪ জন সাংসদের সমর্থনে ইমরান খানকে সরিয়ে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেন। একেবারে প্রথমেই তিনি উত্থাপন করলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ। প্রশ্ন তুললেন ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে।
নব্যপ্রধানমন্ত্রী শাহবাজের বক্তব্য অনুযায়ী, কাশ্মীর রক্তাক্ত হচ্ছে। সেকারনেই আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার আগে নৈতিক ও কূটনৈতিক সমস্তরকমভাবে পূর্ণ সমর্থনের দাবি রাখলেন শাহবাজ শরিফ।
যদিও ভারতের সাথে মূলত ভালো সম্পর্ক রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তবুও কাশ্মীর ও ৩৭০ ধারার ‘খোঁচ’ এই সম্পর্ককে নেহাতই দায় ঠেকানোর মনোভঙ্গীতে পরিণত হয়েছে। তাঁর কথায়, “প্রতিবেশিকে বেছে নেওয়ার কোনও সুযোগ না থাকলেও ভারতের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক কোনোদিনই ভালো ছিলনা।” শাহবাজের এই উল্লেখ থেকেই সুপ্ত ক্ষোভ প্রকাশ পেয়ে যায়।
এরপরেই কাশ্মীরের প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন , “কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করবার সময়ে আমরা কিছুই করিনি। এমনকি কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টাও নয়। কাশ্মীরে রক্ত ঝরছে। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রাখতেই আমরা চাই। কিন্তু কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হলে সেটা সম্ভব নয়।”