কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক নিজস্ব রাজ্যের পরিধি ছাপিয়ে গোটা দেশেই চরম উত্তেজনা তৈরি করেছে। একাধিক ব্যক্তি নানান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। একেকসময় মূল বিতর্ক ছাপিয়ে এসে পড়ছে অন্যতর প্রসঙ্গ। এই উত্তেজনার মধ্যেই খুন হলেন বজরং দলের অন্যতম এক যুবনেতা। হিজাব বিতর্কের কারণেই কি এই খুন? তাঁর দলের তরফে তেমনটাই দাবি উঠেছে।
কর্ণাটকের শিবমোগায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় খুন হয়েছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের সদস্য হর্ষ। ২৬ বছর বয়সী এই যুবককে বজরং দলের প্রথম সারির কর্মী বলেই চিনত সবাই। ২০ তারিখ রাতে আচমকাই একদল দুষ্কৃতী এসে তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে লাগাতার ছুরি চালিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে রেখে যায়। হাসপাতালে যাওয়ার পরেই হর্ষের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
কর্ণাটকের গ্রামীন উন্নয়নমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা জানিয়েছেন হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ফলেই এই খুন হয়েছে। এর জন্য সরাসরি স্থানীয় কংগ্রেস নেতা শিবকুমারের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। ঈশ্বরাপ্পা বলেন, “হর্ষ খুব ভালো ছেলে। সৎ যুবক ও দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। গত রাতে মুসলিম গুন্ডারা তাঁকে হত্যা করেছে।”
যদিও এই খুনের সঙ্গে হিজাব বিরোধিতার কোনওরকম যোগ নেই বলেই মনে করছেন কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এইমূহুর্তে শিবমোগায় Rapid action force নামানো হয়েছে। খুনে জড়িত দোষীদের খুঁজে বার করতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।