মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের এটা ছিল দ্বিতীয় দিন। এদিন আদিবাসী প্রকল্পকে সামনে রেখে ‘আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের’ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মমতা। আদিবাসীদের উন্নয়নে রাজ্যসরকারের পরিকল্পনার কথা এই বৈঠকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। সবচাইতে লক্ষ্যনীয়, এই বৈঠকে দেখা মিলল বিজেপি নেতাদের।
এদিন উত্তরকন্যায় আয়োজিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের জন্য একাধিক সরকারি প্রকল্পের কথা জানান। তিনি বলেন, “জয় জোহার প্রকল্পে ষাটোর্ধ্ব বয়সী সমস্ত আদিবাসী মানুষকে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। ২ লক্ষ ৮০ হাজার আদিবাসী মানুষকে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে বার্ধক্যভাতা দিচ্ছে সরকার। এর জন্য প্রায় ৩২০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর বন্ধ হয়েছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো জানান, “গত ১০ বছরে অন্তত ১ কোটি ৫১ লক্ষ কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।” তাছাড়াও খাদ্যসাথী, সবুজসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে আদিবাসীরা কতটা উপকৃত হয়েছে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই বৈঠকেই ‘আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের’ পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপির নেতা দশরথ তিরকে! এই বৈঠকে তাঁদের উপস্থিতি বিশেষভাবে নজর টেনেছে। যদিও আরো একজন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গাও আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। তবে কলকাতায় অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণেই তিনি আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
আদিবাসী উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দলভেদের মনোভাব পোষণ করেননা, বরং বেরোধীদেরও সমান গুরুত্ব দেন, উন্নয়ন পরিষদে বিজেপি নেতাদের যোগদান এবং সভায় উপস্থিতি সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।