রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিলেও এখনও সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি ন্যাটো (NATO)। স্বার্থ পরিস্কার। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হয়নি বলেই আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত।
এই স্বার্থসুলভ নিষ্ক্রিয়তার কারণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন “ইউক্রেন আর ন্যাটোর অন্তর্গত হতে রাজি নয়।” তবে আমেরিকার সার্বিক হস্তক্ষেপে ইউউক্রেন যে কোনও ফ্যাক্টর নয় সেটাই বুঝিয়ে দিলেন জো বাইডেন। ন্যাটোর নেতৃত্বকারী হিসেবে এদিনের বক্তব্যে তিনি স্পষ্টতই রাশিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি জারি করলেন।
যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে বলে সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় এমন বক্তব্য রাখেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেন লড়াইয়ে শুরু থেকেই শান্তির বদলে যুদ্ধে উস্কানিই দিয়ে চলেছে আন্তর্জাতিক ‘লিডার’-রূপী আমেরিকা। রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগে সার্বিক পরিবেশের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা, তাই বিরোধিতা অবশ্যই জরুরি। তবে এটা এখন পরিস্কার, ইউক্রেনের সরাসরি স্বার্থ নিয়ে আমেরিকার কোনোই মাথাব্যথা নেই।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সেনা পাঠানোর অনুরোধ অস্বীকার করে জো বাইডেন বলেছেন, “ইউক্রেনে গিয়ে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করবনা। ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ হলে সেটা ত়ৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে।”
এখানে একটি বিতর্ক জড়িয়ে রয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার অভিযোগ, বায়োকেমিক্যাল অস্ত্র তৈরির দায় সম্পূর্ণ আমেরিকার। উল্টে আমেরিকার দাবি এই অস্ত্র একমাত্র রাশিয়াই ব্যবহার করতে পারে! রাসায়নিক অস্ত্রের প্রসঙ্গ তুলেই বাইডেন আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে এর দায় রাশিয়ার ওপরই বর্তাবে। সুতরাং ন্যাটোকে হস্তক্ষেপ করতে যেন বাধ্য না করে মস্কো!
প্রসঙ্গত, আরো একবার তথ্যটি মনে রাখা ভালো। NATO হলো নর্থ আটলান্টিক চুক্তিকারী সংগঠন। নর্থ আমেরিকা ও ইউরোপীয়ান দেশগুলি একত্রিত হয়ে একে অপরের কাছে চুক্তিবদ্ধ হয়, নিরাপত্তা ও সামরিক প্রয়োজনে একজন ডাকলেই সকলে জোটবদ্ধ হয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ন্যাটোর নেতৃত্বকারী চালিকাশক্তি বলে পরিচিত।