সাধারণত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কিংবা শপিংমলে কেনাকাটির পর বিলের সাথে ক্যারিব্যাগ বা প্যাকেটের চার্জ যোগ করা হয়, এই সিস্টেম সম্পর্কে সবাই মোটামুটি জানেন। যেটা জানা ছিলনা, ক্যারিব্যাগের চার্জ দেওয়া উচিত নাকি অনুচিত! জানা ছিলনা কোনও কাস্টমার বা কনজিউমার যদি এই চার্জ দিতে অস্বীকার করেন তাহলে কী হতে পারে! সেটাই উঠে এল সম্প্রতি বিগ বাজারের একটি ঘটনায়। এছাড়াও একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে। তারই মধ্যে এটি একটি।
NCDRC (ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপ্যুটস রিড্রেসাল কমিশন) জানাচ্ছে — ক্রয়সামগ্রির সাথে ক্যারিব্যাগের চার্জ নির্ধারণ করা বেআইনি কাজ। সেই নিয়ম জানেন এমন এক ক্রেতা ২০২১ সালে কনজিউমার কমিশনে বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন– তাঁর বিলে জোর করেই ১৯/-টাকা চার্জ ধার্য করেছিল ঔরঙ্গাবাদের একটি বিগ বাজার। ব্যাগের জন্য চার্জ দেওয়ার বিরোধিতা করে তিনি আরো জানান, স্টোরের ডিসপ্লেতে এই ধরণের কোনও উল্লেখও ছিলনা।
সকলই জানেন ক্যারিব্যাগ চার্জের কোনও নোটিশ সাধারণত স্টোরের বাইরে দেওয়া থাকেনা, যেন ধরেই নেওয়া হয়েছে ক্যারিব্যাগের চার্জ দিতে কাস্টমার বাধ্য। কিন্তু না, তা একেবারেই নয়। ঔরঙ্গাবাদের এই ঘটনায় কনজিউমার কমিশন ওই শপিংমলের অংশীদার কোম্পানি ফিউচার রিটেইল লিমিটেডকে ৮০ গুণ অর্থাৎ ১,৫২০/- টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। এখানে উল্লেখ্য, শুধু বিগবাজার নয়, অন্যান্য শপিং মলেও এই রীতি প্রচলিত রয়েছে। ক্যারিব্যাগ চার্জ করা যদি আইনবিরুদ্ধই হবে, তাহলে সর্বত্র সেগুলি বহাল রয়েছে কীভাবে? এটা সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা যাচাইকৃত নয়।
NCDRC-র পক্ষ থেকে নির্দেশিকায় বলা হয়, ক্যারিব্যাগের খরচ ক্রেতাদের ওপর চাপানো চলবেনা। সংগঠনের তরফে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, “এটা আমরা আশা করতে পারিনা যে গ্রাহক কোনও জিনিস কিনলে তার ব্যাগের খরচও ক্রেতাকেই বহন করতে হবে, কারণ গ্রাহকরা তাঁদের নিজস্ব ব্যাগ স্টোরের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননা। এর ফলে বাধ্য হয়েই তাঁদের ক্যারিব্যাগ কেনার ফাঁদে ফেলা হয়। গ্রাহকদের নিজস্ব ক্যারিব্যাগ না নিয়ে যেতে দিয়ে এবং নিজেদের ক্যারিব্যাগ জোর করে চাপিয়ে দিয়ে স্টোরগুলি অনৈতিক কাজ করছে।”