গতকালই গঙ্গাসাগর মেলা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। যথোপযুক্ত বিধি মেনে মেলা পালিত হচ্ছে কিনা, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন তা খতিয়ে পর্যবেক্ষণ করলেন তিনি।
গঙ্গাসাগর মেলা সম্পর্কে পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন , “করোনা পরিস্থিতিতেও গঙ্গাসাগরের মতো এত বড় একটি মেলাকে সংক্রমণ এড়িয়ে ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করাই একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তাই সম্পূর্ণ না হলেও অন্তত ৯০ শতাংশ মানুষকে ধর্মীয় আচার পালন করে সুস্থভাবে ফেরানোর দিকেই বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার।”
এত সুকঠিন বন্দোবস্ত সত্ত্বেও রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির গঙ্গাসাগর মেলার বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদের স্পষ্ট বক্তব্য, “বিজেপি কাজের চেয়ে সমালোচনায় বেশি পারদর্শী।” হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন কেন পিটিশন জমা দিলনা বিজেপি? এই প্রশ্ন রেখেছেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “আসলে ওরা জাতপাত-ধর্ম-সংস্কৃতির বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এটা ভারতবর্ষের কালচার নয়। তাই দিলীপ ঘোষেরা কী বললেন তা কারুর দেখার বিষয় নয়।”
বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলেই বিজেপি মেলার মাহাত্ম বুঝতে ব্যর্থ, এমন ইঙ্গিতই কি দিতে চাইলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী!
এদিন গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিরও ব্যাখ্যা করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন , “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকলকে সঙ্গে নিয়ে সদর্থক ভূমিকা পালন করছেন, মানুষ তা গ্রহণ করছে। ইউনিটি অ্যান্ড ডাইভার্সিটি আমাদের মূল মন্ত্র। আর সেটাই বাস্তবায়িত করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
উল্টোদিকে বিজেপির রাজনীতি সম্পর্কে ফিরহাদের মন্তব্য, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওরা যখন সমালোচনা করে মানুষ কখনোই তা ভালভাবে গ্রহণ করেনা। তাই যত দিন যাচ্ছে বিজেপি মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ওদের পাশে সাধারণ মানুষ নেই। এখন ডাকলেও লোক পাবেনা ওরা। তাই বিজেপির বোঝা উচিত, আগামী দিনে দেশের মসনদ থেকে ওদের যাবার সময় এসে গেছে।”
২০২৪ লক্ষ্য করেই কি এমন বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম!