নির্বাচনের শিঙ্গা বেজে উঠেছে। দিন যত এগোচ্ছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনৈতিক আবহাওয়া। ঠিক সেই সময়েই তৃণমূল বনাম বিজেপির দ্বিমুখী লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করল শিলিগুড়িতে ছড়িয়ে পড়া বিজেপির কিছু ফ্লেক্সব্যানার, যেখানে স্পষ্ট করেই লেখা বিজেপির আন্তরিক ইচ্ছা — ‘দিদিই থাক!’ শিলিগুড়ির এই ব্যানার পদ্মশিবিরকে তীব্র অস্বস্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
পুরোনো বিজেপি অর্থাৎ শীর্ষ নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবানী, তপন শিকদারের ছবি সম্বলিত এইসব ফ্লেক্সে লেখা — “পুরোনো বিজেপি দিচ্ছে ডাক, শিলিগুড়িতে দিদিই থাক।” এই ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি। পাশাপাশি আরো লেখা হয়েছে, “গদ্দার হটাও, বিজেপি বাঁচাও।”
বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর মালাকার যদিও বলছেন, বিজেপির কেউ এই ব্যানার লাগায়নি। পরোক্ষে তিনি শাসক শিবিরের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন মনে করা হচ্ছে। শঙ্কর মালাকার বলেছেন, “পুরোনো বিজেপির কেউ অটলবিহারী বাজপেয়ীর ছবি দিয়ে এমন কাজ করবেননা। এর মধ্যে দিয়ে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। যাঁরা মেরুদন্ডহীন, রাতের অন্ধকারে গরু পাচার করে, কয়লা পাচার করে তারাই বিজেপির নামে এসব করছে।” এই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক আক্রমণের সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই বলেই সম্ভবত কোনো বিশেষ দলের নাম করেননি বিজেপি বিধায়ক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অপরপক্ষে, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দেবব্রত দত্ত জানান, “আমাদের এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করার ইচ্ছা নেই। এরকম সাহায্যের ওপর নির্ভর করে মমতা বন্দ্যোাধ্যায়। নিজের জায়গা তৈরি করেননি। এই ধরনের চালাকির রাজনীতি করার প্রয়োজন আমাদের নেই।”
তৃণমূলের মুখপাত্র স্পষ্টতই জানিয়েছেন, “এটা তৃণমূলের কাজ নয়। অপ্রকাশিত তিন দলের যে জোট আছে, তারা এই কাজ করতে পারে।”