দিনদুই আগেই দলের হয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধেে চিৎকারে গলা ফাটিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একরকম বলা যায় বিজেপির তারকা প্রতিবাদী। অথচ সেই দলেই তাঁর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই জেনে এবার নিজেই অভিমান প্রকাশ করলেন সরাসরি।
আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভায় স্থির হয়েছে উপনির্বাচন। তারই কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণকারীদের নাম প্রকাশ্যে এনেছে বিজেপি। আশ্চর্যজনক ভাবে, সেই চল্লিশ জনের তালিকায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম নেই! এতে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই ক্ষোভ চাপা থাকেনি। বাংলার এক বৃহত্তর সংবাদমাধ্যমে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “তালিকায় নাম নেই মানে আমাকে দল গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেনা। সুতরাং ইচ্ছে থাকলেও আমি আর প্রচারে অংশ নেবনা।”
উল্লেখ্য, এই ইচ্ছার কথা তাঁর দল জানতেন। রাজ্য সহসভাপতি অর্জুন সিংয়ের কাছে এই ইচ্ছার কথা তিনি প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানান। যদিও অর্জুন সিং নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেই বলেছেন, “আমার কাজ ছিল প্রচারের জন্য সকলকে বলা। সেই কর্তব্য আমি পালন করেছি। এরপরে কার নাম তালিকায় নেই সেটা আমার এক্তিয়ারে পড়েনা। আর তাতে কেউ যদি প্রচারে না নামেন তাতেও আমার কিছু বলার নেই।” লকেট চট্টোপাধ্যায়য়ের প্রতি অবজ্ঞার মনোভাব এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।
এতকিছু সত্ত্বেও ‘ব্যক্তির থেকে দল বড়’ ইত্যাদি উল্লেখ করে লকেট স্পষ্টতই জানানা তিনি প্রচারে অংশ নেবেননা, দল যে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনা এই কথাটা বারংবার উল্লেখ করে অভিমান ব্যক্ত করেছেন লকেট।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের গণহত্যা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শাসনকে অপশাসন উল্লেখ করে বিজেপির প্রথম সারির নেত্রী হিসেবেই গলা চড়িয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, “শাসক দলের লোকেরা রসগোল্লার মতোই বোমা ছোঁড়ে।” রাজ্যের সেই মুখরা বিজেপি নেত্রীকে কী কারণে হঠাৎ অবজ্ঞা করতে শুরু করল বিজেপি? প্রশ্নটা জনমানসে উঁকি দিচ্ছে।