বিজেপি দলের ল্যাংচা নিয়ে বিতর্ক এখন ভাইরাল। গোড়া থেকেই বগটুই গ্রামের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয় ভূমিকাকে নস্যাত করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে এমনই একটা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি দলের প্রতিনিধিরা, যেন এইমূহুর্তে সুবিচার না পেলে তাঁরা বগটুহয়ের মর্মযন্ত্রণা মারা যেতে বসেছেন। সেই বিজেপিরই অন্য ছবি ধরা পড়ল মিডিয়ায়।
বগটুই গ্রামে যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে হইহই করে ল্যাংচা খাওয়ার ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পরেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। উল্লেখ্য, এই দলে দিলীপ ঘোষ ছিলেন।
এক সংবাদ মাধ্যম সরাসরি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন সহ কটাক্ষ ছুঁড়লে তিনি সাংবাদিকের ওপরেও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। উল্টে তিনিই প্রশ্ন ছোঁড়েন, কেন তাঁকে এই প্রশ্ন করা হচ্ছে! সেই অডিওটিও নেটমাধ্যমে অনেকেই শুনেছেন।
একটি গ্রামে নারকীয় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, এখনও আতঙ্কিত সেখানকার প্রচুর মানুষ। এই অবস্থায় বিরোধীরা সেই গ্রামে বিক্ষোভ দেখাতে যাওয়ার পথে হইচই করে ‘পিকনিক’ উদযাপনের ভঙ্গিতে শক্তিগড়ের ল্যাংচা খেতে মত্ত। এই ছবি মিডিয়ায় প্রকাশিত হতেই বিরোধী রাজনীতির চেহারাও মানুষের সামনে অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এই ঘটনাকে সামনে রেখে মিডিয়ায় যখন তুমুল তোলপাড়, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোচ্চার হন।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “কিছু দল ল্যাংচা খেতে ঢুকেছেন ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে। তাই রাত্তির হয়ে যাবে। ওরা থাকাকালীন আমি যাবনা। কারণ পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চাইনা আমরা।” পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষের বিদ্রূপ ছিটকে পড়ে ট্যুইটারে।
এর পাল্টা প্রত্যুত্তরও দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, “আপনারা কি কিছুই খাচ্ছেননা! না খেয়ে বসে রয়েছেন? ল্যাংচা খাওয়া কি অপরাধ?”
না ল্যাংচা খাওয়া অপরাধ নয়, কেউই না খেয়ে প্রতিবাদ করছেননা একথা সবাই জানেন। প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের মেকি বিরোধের ভান করা নিয়ে। এমন একটা স্পর্শকাতর জায়গায় যাঁরা যাচ্ছেন, অন্তত এটুকু তাঁদের কর্মীদের বোঝানো উচিত ছিল যে, তাঁরা চড়ুইভাতি করতে যাচ্ছেননা। সচেতন ব্যক্তিমাত্রেই একথায় সায় দিচ্ছেন।