দিনের পর দিন ঘুষ নিয়ে আসছেন। এবার হাতেনাতে বমাল সমেত ধরা পড়ার পরেও প্রকাশ্যেই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললেন, ‘ঘুষ তো মন্দিরের প্রসাদ!’ এই নির্লজ্জ আত্মসমর্থনের ভঙ্গি দেখে মাথা ঘুরে গিয়েছে বাঘা বাঘা সরকারি কর্মীর।
রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন মমতা। ‘জয়পুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ বহুদিন ধরেই দুর্নীতিদমন শাখার অফিসারদের টার্গেট লিস্টে ছিল। গোপন সূত্রে তাঁরা জানতে পেরেছিলেন এখানে দিনের আলোয় বুক বাজিয়ে সরকারি কর্মচারিরা ঘুষ নিয়ে চলেছেন। এদিন পরিকল্পনা মাফিক আচমকাই রেইড করেন দুর্নীতিদমনকারী শাখার অফিসাররা। এই অভিযানে দীর্ঘদিন চলে আসা ঘুষকারবারীরা হাতেনাতে ধরা পড়েন।
তদন্তসূত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্ধান্তনগরের অধিবাসী দুই ব্যক্তি জমি পাট্টা নেওয়ার জন্য ‘জয়পুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’-র অফিসে যান। কিন্তু সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মমতা যাদব পাট্টা নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিনিময়ে সরাসরি লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়ে বসেন। সেই হিসেবে মমতাকে ৬ লক্ষ টাকা এবং ইঞ্জিনিয়ার শ্যাম মালুকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়। ঘটনাচক্রে এই ব্যাপারটি পুলিশ কমিশনারের কাছে ফাঁস হয়ে যায়।
একদিকে যখন দুই ব্যক্তি টাকার ব্যাগসমেত সরকারি অফিসে হাজির হন, পাশাপাশি সাদা পোশাকে সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। ইঞ্জিনিয়ার শ্যাম মালু হাত বাড়িয়ে টাকার ব্যাগ নিতে যেতেই ঘেঁটিতে হাত, একেবারে বমাল গ্রেপ্তার। এই ইঞ্জিনিয়ারের সূত্র ধরেই অফিসের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মমতা যাদবের কাছে পৌঁছন দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররা।
নগদ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ক্যাশ টাকা সমেত তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ধরা পড়ার পরে এক আশ্চর্য স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মমতা যাদব, যাতে দুর্নীতিদমন শাখার অফিসারদেরও মাথা ঘুরে যাবার যোগাড়! মমতা বলেন, “ঘুষ তো মন্দিরের প্রসাদ! কেউ দিলে না করতে নেই।”