সম্প্রতি ট্যুইটার মারফত মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একটি ভিডিওর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাতোলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে যাচ্ছেতাই ঘৃণাসূচক মন্তব্য করেছেন।
এমনকি মোদীকে ‘গালিগালাজ ও মেরে ফেলার’ কথাও বলেছেন কংগ্রেস নেতা। যদিও সংবাদের কাছে মাধ্যমের কাছে ভিডিওটি সরাসরি যাচাইকৃত নয় । তবে প্রকাশ্য সাক্ষাৎকারে এবং মেনশন করা ট্যুইটের মন্তব্যে দেবেন্দ্র ফোড়নবিস এই নেতার বক্তব্যের কথা জানিয়ে কঠোর আইনি তদন্তের দাবি তুলেছেন।
পাশাপাশি দেবেন্দ্র জানান, “পাঞ্জাবে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া সত্ত্বেও এব্যাপারে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলতে পর্যন্ত রাজি হননি। উপরন্তু এবার মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, উনি মোদীকে মারধোর করতে পারেন, গালিগালাজও করতে পারেন!”
অবশ্য এই গোটা ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত কংগ্রেস সভাপতি নানা পাতোলে আশ্চর্য এক সাফাই দিয়েছেন। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেননি। অর্থাৎ ভিডিওতে মোদীকে ‘মারার কথা, গালিগালাজ করার কথা’ তিনি বলেছেন ঠিকই, তবে সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে নয়। তাঁর বক্তব্য, “আমি একজন স্থানীয় গুন্ডার কথা বলছিলাম। তার নামও মোদী।”
প্রধানমন্ত্রীর মানমর্যাদা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাতোলে, এমনই এক আশ্চর্য কৈফিয়ৎ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্টে তিনি দাবি করেন, “বিজেপি দেশের সমস্যা থেকে নজর সরানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিতর্ক তৈরি করছে। আমি কংগ্রেস কর্মীদের রাজ্যের বিভিন্ন থানায় সেইসমস্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি, যাঁরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।”
উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফোড়নবিসের উল্লিখিত ওই ভিডিওটিতে নানা পাতোলে ভান্ডারা জেলার জেভনালা গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলার সময়ে ‘মোদীকে মারার’ কথা বলেছেন বলে প্রকাশ। কিন্তু ওই গ্রামে দ্বিতীয় কোনও ‘মোদী’-র খোঁজ পাওয়া যায়নি। মনোজ বাগদে নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, “গোটা ভান্ডারা জেলার কোনও গ্রামে মোদী পদবিযুক্ত কোনও ব্যক্তি নেই।”