এবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছেন বাংলার মানুষজন। বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের পক্ষে রোজ যাতায়াত করে ক্লাস করা অসহনীয় হয়ে উঠছে। সবদিক বিবেচনা করেই এবারের গরমের ছুটি এগিয়ে এনে ২ মে থেকে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, পড়াশোনা লাটে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এমন সিদ্ধান্ত!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছুটি ঘোষণার পরেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ দাবি তুলে বলেছিলেন, “উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলোয় ছুটি এগোনোর প্রয়োজন নেই।” তার সূত্র ধরেই দিলীপ ঘোষ মমতাকে কটাক্ষে বিঁধেছেন।
ছুটি ঘোষণার আগে বিকাশভবনের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও স্মরণ করাতে চেয়েছিলেন, দীর্ঘকালীন বন্ধের পর সবে স্কুলগুলো চালু হয়েছে। কাজেই পড়াশোনায় যাতে আবার কোনওরকম ঘাটতি না তৈরি হয়! শিক্ষা দপ্তরের সাথে দীর্ঘ আলোচনাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিভাবকদের একাংশ আবেদন জনাচ্ছিলেন গরমের ছুটির জন্য। তাই বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপবাবু প্রশ্ন তুলেছেন, “কোন স্কুলের অভিভাবক এসে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাসত্ত্বেও কেন স্কুল ছুটির ঘোষণা? আসলে পড়াশোনাটাই তুলে দেওয়ার চক্রান্ত।”
এদিন স্কুল ছুটি নিয়ে কটাক্ষের পাশাপাশি কেন্দ্রের নিকট রাজ্যর বকেয়া টাকা ফেরতের প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী আম্ফানের রিলিফের নামে মমতা নিজের দলের বিলাসিতা এবং হেলিকপ্টারে চড়ে ঘোরার জন্য জন্য টাকা চাইছেন।
তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই সাংবাদিকদের বলেন, “পার্টির লোককে সরকারি টাকায় পুষবেন। সেই টাকা কেন্দ্র দেবে? খালি মোদীজির টাকা ফুটানি মারবেন, আর দিল্লীর প্রকল্প নিজের নামে চালাবেন!অন্য রাজ্য তো এত টাকা নেই টাকা নেই বলেনা! বাংলার মানুষ কি বোঝেনা ভেবেছেন?”
বাংলার মানুষ কিছু বুঝুক আর না বুঝুক, গ্রীষ্মকালের মতোই যে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে ‘লু’ বইছে তাতে কোনও সংশয় নেই।