ইংরেজবাজার ও দেগঙ্গা ধর্ষণ কান্ডে তদন্তকারীদের জরুরি তলব পাঠালেন স্পেশাল কমিশনার-২ দময়ন্তী সেন। কতদূর এগিয়েছিল ইংরেজবাজার ধর্ষণের তদন্ত? তার হালহকিকত জানতেই মালদা জেলার তিন পুলিশ অফিসারকে লালবাজারের ডেকে পাঠিয়েছেন আইপিএস দময়ন্তী সেন।
ইংরেজবাজার থানার আইসি, এসডিপিও, এবং মালদার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে আজ শনিবার বিকেল ঠিক ৪টেতে লালবাজারে হাজির হতে বলা হয়। পাশাপাশি দেগঙ্গায় ঘটে যাওয়া পুলিশঅফিসাররাও তলব পেয়েছেন, এমনটাই জানিয়েছে লালবাজার।
উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ মালদার ইংরেজবাজারে বাড়িতে ঢুকে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলেই জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেই ঘটনার তদন্ত আদৌ কি হচ্ছে? যদি হয় তা কতদূর এগিয়েছে? এর বিস্তারিত রিপোর্ট চাইবেন দময়ন্তী সেন। ইংরেজবাজারের পাশাপাশি নাম উঠেছে দেগঙ্গার।
দেগঙ্গার ঘটনাটিও ছিল শিউরে ওঠার মতো। বাবা নেই। মা সেলাইয়ের কাজ করে কোনোমতে সংসার চালিয়ে মেয়ের লেখাপড়া চালান। ক্লাস টেনে পড়া ওই মেয়ে সন্ধেবেলা দর্জির বাড়িথেকে মায়ের পারিশ্রমিকের টাকা নিয়ে ফেরার পথেই গণধর্ষণের শিকার হয়।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাহান সর্দার, মুস্তাকিন মন্ডল ও আরেকটি নাবালক ছেলে জড়িত ছিল। রাস্তা থেকেই মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক আমবাগানে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গিয়েছিল তিনজন। এই ঘটনায় নাবালিকা ধর্ষিতা মেয়েটির অভিযোগ অনুযায়ী পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করলেও, আসল পান্ডা মুস্তাকিন পালিয়ে গিয়েছিল।
এই দুটি ঘটনার তদন্ত প্রসঙ্গে আজ আলোচনায় বসছেন ভারপ্রাপ্ত অফিসার দময়ন্তী সেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মাটিয়া এবং বাঁশদ্রোণী ধর্ষণের তদন্তকার্যের শীর্ষেও আইপিএস দময়ন্তী সেন থাকবেন।