আত্মহত্যা, তার আগে পরিবারকে চাপমুক্ত করতে খুন! সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এই রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঋণে জর্জ্বরিত এক ব্যক্তি তাঁর অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে হত্যা করে তারপর নিজে আত্মহত্যা করলেন। তাঁর সুইসাইড নোটে স্বীকৃতি পেয়েছে পুলিশ। ব্যক্তির নাম গণেশ ফরতাদে।

কী বলা যায় এমন ঘটনাকে? হতাশা! ভয়! আত্মহত্যার প্রবণতা! নাকি পলায়ন মনোবৃত্তি? উন্নয়নশীল দেশে এই ঘটনা বারেবারেই ঘটছে। মনোবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীরা উভয়েই হয়তো সহমত পোষণ করবেন — এই ধরণের ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত মানসিক প্রবৃত্তি দ্বারাই চালিত হচ্ছেনা, এর পাশাপাশি কাজ করছে এক সামাজিক অনিয়শ্চয়তা এবং নিরাপত্তার অভাববোধ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এক চিকিৎসক চারপাশের কোভিড পরিস্থিতির জটিলতা থেকে মুক্তি দিতে তাঁর স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করেছিলেন। পালানোর আগে কারণ হিসেবে এক আত্মীয়কে মেসেজ করে সবটাই তিনি জানান, এমনটাই খবরে প্রকাশ।
এবার ঋণের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে পুনের ধানকয়াড়ি অঞ্চলের বাসিন্দা গণেশ ফরতাদে তার ৭৬ বছরের বৃদ্ধা মাকে হত্যা করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শেয়ার মার্কেটে বিপুল টাকা লোকসানের ফলেই এমন কান্ড ঘটান তিনি। তদন্তকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর ইউনুস মুলানি জানান, “প্রথমে সে তার শয্যাশায়ী মাকে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিল। কিন্তু তাতেও বৃদ্ধার মৃত্যু না হওয়ায়, প্লাস্টিক মুখে আটকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে! এরপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ব্যক্তি।”

নিজের এক আত্মীয়কে হোয়াটসঅ্যাপে সুইসাইড নোট লিখে এই কান্ড ঘটান গণেশ ফরতাদে। নোটটি থেকে জানা গেছে, “শেয়ার মার্কেটে প্রচুর টাকা লোকশান ও ঋণজর্জ্বরিত অবস্থার জন্য বাধ্য হয়ে সে এমন একটি চরম পদক্ষেপ নিতে চলেছে। মাকেও অসুস্থতা থেকে চিরকালের জন্য মুক্তি দিতে হত্যা করেছে ওই ব্যক্তি।” এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।