একদিকে রামনবমীতে অশান্তি, হনুমান জয়ন্তীতে হিন্দু শোভাযাত্রা ঘিরে দাঙ্গা, পাশাপাশি লাউডস্পিকারে আজান বাজানো ঘিরে দেখা দিয়েছে তুমুল বিতর্ক। রাজ ঠাকুরের দাবি ছিল –মসজিদে মাইক বাজানো হলে হিন্দু মন্দিরেও লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা বাজানো হবে।
যোগীরাজ্যেও সেই বিতর্ক ছড়ায়। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র সরকার নির্দেশিকা জারি করেছিল সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনও ধর্মীয় উপাসনাস্থলে মাইক বাজানো চলবেনা। এবার কড়া নির্দেশনামা জারি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী।
আজান বিতর্কে মসজিদ মন্দির উভয় স্থানের উদ্দেশ্যেই যোগী বলেছেন, ‘ধর্মীয় উপাসনার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু দেখতে হবে তা যেন অন্যের অসুবিধার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। সেইকথা মাথায় রেখেই যোগী সরকারের ফরমান — ‘কোনও ধর্মীয় স্থানে যদি মাইক যদি বাজানোও হয়, তবে মসজিদ বা মন্দিরের চৌহদ্দিতেও যেন তা সীমাবদ্ধ থাকে। আওয়াজ কোনওমতেই যেন প্রাঙ্গণের বাইরে না যায়।’ একইসঙ্গে যোগীর নির্দেশ, ‘সরকারি অনুমতি ব্যতীত কোথাও কোনও ধর্মীয় মিছিল বের করা চলবেনা।’
সামনেই ঈদ ও অক্ষয়তৃতীয়া। সুতরাং ধর্মীয় অনুষ্ঠান তো আয়োজিত হবেই। সেকারণে পুলিশকে আগে থাকতেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নির্দেশ, থানা স্তর থেকে এডিজি পোস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ — ২৪ ঘন্টার মধ্যে যার যার স্থানীয় ধর্মীয় সংস্থাগুলির সাথে যোগাযোগ করবেন, প্রয়োজনে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সংযোগ রক্ষা করে চলতে হবে। এবার আর ঝুঁকি নয়, কোনোরকম অশান্তির আগেই এবার প্রস্তুত থাকতে চাইছে যোগী সরকার।