এই মূহুর্তে কর্ণাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরখা, হিজাব নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে। কার্যত দু-ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে জনসাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি। কেউ স্কুল কলেজে হিজাব পরার বিপক্ষে, কেউ আবার এটাকে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন। ঠিক এই উত্তপ্ত সময়েই একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে দেখাতে চেয়েছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
নিজের ফেসবুক ওয়ালে দুটি ভিন্ন ছবি একসাথে রেখে পার্থক্য বুঝিয়েছেন কঙ্গনা। একটি ছবিতে সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরিহিতা কয়েকজন মহিলা, অন্য ছবিতে বোরখায় আপাদমস্তক ঢাকা মহিলাদের ভিড়। কঙ্গনার দাবি, দুটি ছবিই ইরাকের, ৫০ বছরে প্রথম ছবি থেকে দ্বিতীয় ছবিতে পরিণাম ঘটেছে।
কঙ্গনা রানাওয়াত লিখেছেন, “এই হলো ইরাক, ৫০ বছরেরও কম সময়ে বিকিনি থেকে বোরখা হয়েছে। সাহস দেখাতে হলে আফগানিস্তানে বোরখা না পরে দেখান। নিজেকে খাঁচায় বন্দী করবেননা, বরং মুক্ত করতে শিখুন। ভারত একটি আশীর্বাদ , আপনার স্বাধীনতা উপভোগ করুন দয়া করে এটিকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করার চেষ্টা করবেন না।”
এই সংলাপ পড়ে ধাঁধার মতো লাগছে কি? সেটা লাগারই কথা। কারণ স্পষ্ট করে কোনো মতামত রাখেননি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্পূর্ণ লেখাটির সারাংশ বের করলে মনে হয় তিনি বোরখা পরার বিপক্ষে। আবার প্রথমাংশে তিনি ‘আফগানিস্তানে বোরখা না পরার স্বাধীনতা দেখাতে বলছেন!’ কাকে বলছেন? কর্ণাটক সরকারকে? নাকি সেই মেয়েদের, যারা বোরখা পরেই আসতে চাইছে! স্বচ্ছতা নেই।
লেখাটির মাঝখানের অংশটুকু পড়ার পর শেষ অংশে যা তিনি বলতে চেয়েছেন — বোরখা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শই রয়েছে তাতে! তাহলে ‘সাহস দেখাতে হলে আফগানিস্তানে বোরখা খুলে দেখান!’ কেন বলছেন তিনি? নাকি বোরখা পরার বদলে তা খুলে ফেলেই মুক্তমনা হতে বলছেন তিনি? সেটা ঠিক পরিস্কার নয় বলেই নেটিজেনদের একাংশ দ্বন্দ্বে রয়েছেন।