বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আফগানিস্তানে উঠল তালিবান বিরোধী ঝোড়ো হাওয়া। এবার তালিবানদের ত্রাস হয়ে উঠতে চলেছেন প্রাক্তন আফগান সরকারের সেনাপ্রধান জেনারেল সামি। সূত্র মারফত এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটেন ও আমেরিকা।

পূর্বতন আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামিই আগামীদিনে তালিবানদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবেন বলে আমেরিকান সূত্রের দাবি। পশ্চিমি সূত্র আরো জানাচ্ছে, তালিবান হঠানোর এই যুদ্ধে তাঁকে সহায়তা দেবেন ‘নর্দার্ন অ্যালায়েন্স’-এর নেতা আহমেদ মাসুদ এবং আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। উল্লেখ্য, এই ‘নর্দার্ন অ্যালায়েন্স’ হলো তালিবান বিরোধী জোট ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টেরই’ অপর নাম।
মে মাসের শুরুতেই ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমে জেনারেল সামি জানিয়েছিলেন, ইদ উৎসবের পরেই আফগানিস্তানে গণতন্ত্র পুনরুত্থানের সংগ্রাম শুরু করবেন তিনি। সামির দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, “এ বার ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা তালিবানকে হঠাব।”
গণতন্ত্র পুনরুত্থানের এই লড়াইয়ে আমেরিকা ও ব্রিটেন যে সহযোগিতা করবে তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই আমেরিকা ও ব্রিটেনের গুপ্তচর সংস্থা CIA এবং MI-6 এর সহযোগিতায় এই সংঘর্ষের প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এক সংবাদ সূত্র দাবি করেছে, এই প্রস্তুতিপর্ব চলছে আফগানিস্তানের প্রতিবেশি অর্থাৎ পুরোনো সোভিয়েত ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষেই!

জেনারেল সামি এবং ‘নর্দার্ন অ্যালায়েন্স’-এর নেতা আহমেদ মাসুদ দুজনেই লন্ডনের ‘কিংস কলেজ’ থেকে যুদ্ধবিদ্যায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সেইসময় থেকেই পরস্পর সহযোদ্ধা-সহপাঠী ছিলেন। এঁরাই তালিবান বিরোধী সংঘর্ষে জোটবদ্ধ হতে চলেছেন। বরাবরই তালিবান বিরোধী লড়াইয়ে অগ্রগণ্য ভূমিকা ছিল সামির। আন্তর্জাতিক অস্ত্রব্যবসা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল তিনি।
পাশাপাশি তালিবানরা আফগান দখলের পর থেকেই উত্তর আফগানিস্তানের অন্তর্গত বেশকিছু এলাকায় তালিবান বিরোধী লড়াই অব্যাহত রেখেছেন আমরুল্লাহ সালেহ।

গত মাসেই তাজিকিস্তান সীমান্তের কাছে তখর এলাকায় তালিবানদের সাথে এই সংঘর্ষ ব্যাপক আকার নিয়েছিল। এবার তিনজনের যৌথ সংগ্রাম এবং পশ্চিমি দেশের সহায়তায় তালিবানবিরোধী লড়াই কোন চেহারা নেয়, আন্তর্জাতিক মহল সেদিকেই তাকিয়ে।