হিজাব বিতর্ক এখন জাতীয় স্তরের বিতর্কে পরিণত হয়েছে। সমাজের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এর সপক্ষে বা বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। এমনই যখন চরমে উঠেছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব বিরোধী হিন্দু শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, সেই মূহুর্তকে বর্ণনা করতেই গেরুয়া স্কার্ফ পরা ছাত্রদের ‘টেররিস্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন সাংবাদিক রানা আইয়ুব। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল থানায়।
উদুপির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা মুসলিম মেয়েদের ক্লাসে ঢুকতে বাধা দিয়ে গেরুয়া স্কার্ফ গলায় ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল হিন্দু শিক্ষার্থীরা। তাদের আচরণ বর্ণনা করতেই আন্তর্জাতিক এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তাদের হিন্দু জঙ্গি (Hindu Terrorist) বলে উল্লেখ করেছিলেন সাংবাদিক রানা আইয়ুব। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আচমকাই একদল গেরুয়া স্কার্ফ পরা হিন্দু ছেলে আসলো, তারপরেই স্কুলের মাঝখানে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করল — এটাই জঙ্গির পরিচয়।”
সাংবাদিক রানা আইয়ুব এই গায়ের জোরে হঠাৎ বিনা কারণে স্কুলচত্বরে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের আচরণকেই ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়েছেন। আর সেই অভিযোগেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মুম্বাই পুলিশ স্টেশনে এফআইআর রুজু করেছেন অ্যাডভোকেট আশুতোষ দুবে। এই আইনজীবি তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে বিষয়টি শেয়ার করে জানান। হিন্দুধর্মকে ‘জঙ্গিবাদের’ সাথে তুলনা করার ফলেই এই পদক্ষেপ সেটাও স্পষ্টতই জানিয়েছেন তিনি।
যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে একাংশের দাবি বোরখা বা ইসলাম সম্পর্কিত যেকোনও কিছুকেই সন্ত্রাসবাদের সাথে জুড়ে দেওয়া হয় কেন? মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটিতে যে একদল লাল গেরুয়া স্কার্ফ পরা ছেলে একটি বোরখা পরা মেয়ের ওপর প্রতিবাদের ভঙ্গিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল, তাদের ওই আচরণকে জঙ্গিপনা ছাড়া আর কি আখ্যা দেওয়া যায়? সেই প্রশ্নই অনেকে রেখেছেন।