একসময়ের কট্টর বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহা এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ১৩ মার্চ দুপরে ট্যুইট করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে বিখ্যাত অভিনেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহা-র তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান ও প্রার্থী হবার ঘোষণা করেছেন।
জল্পনা অবশ্য চলছিল ২০১৯ সাল থেকেই। বিজেপির একাধিক কার্যকলাপের বিপক্ষে সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন হিন্দি ছবির তাবড় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তখন থেকেই গেরুয়া শিবিরের বিরোধী মুখ হয়ে উঠছিলেন রীতিমতো। তৎকালীন বিহার বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেছিলেন, “শত্রুঘ্ন সিনহা আমার আইকন। কিন্তু যেভাবে তিনি লাগাতার বিজেপিকে আক্রমণ করে চলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে দলটাকে ওনার ভালো লাগছেনা। তাহলে ওনার দল ছেড়ে দেওয়া উচিত।”
এইসময়েই বিজেপির সাথে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল শত্রুঘ্নর। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জীর প্রভূত প্রশংসা করছিলেন বিভিন্ন ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতে। এমনকি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশেও অতিথি হয়ে এসেছিলেন তিনি। অলিখিত ভাবে তখন থেকেই সবাই একরকম ধরেই নিয়েছিলেন পরবর্তী লোকসভায় নিশ্চয়ই তৃণমূলের মিত্র হতে চলেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু কোন কেন্দ্রের প্রার্থী হতে পারেন শত্রুঘ্ন সেই নিয়ে চলছিল নানান অনুমান।
লোকসভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলনা। তার আগেই ঘোষিতভাবে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ভেসে উঠল শত্রুঘ্ন সিনহার মুখ। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আসানসোলের ওই সাংসদ পদটি শূন্য পড়ে রয়েছে।
আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোলে উপনির্বাচন আর সেখানেই লোকসভার প্রার্থী হলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। ট্যুইটে সেই বার্তাই খুশির সাথে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।