সম্প্রতি লন্ডনের এক অনুষ্ঠান মঞ্চের ভাষণে বর্তমান ভারত সম্পর্কে শ্লেষাত্মক মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের রাজপুত্র রাহুল গান্ধী। “ভারত এখন আর ভালো দেশ নয়,” কিছুটা এমনই ইঙ্গিত দিয়ে ভারতের সাথে পাকিস্তানের তুলনা টেনেছেন রাহুল। তেমনই শ্রীলঙ্কা ও চিন প্রসঙ্গও উঠে এসেছে রাহুলের বক্তব্যে। তবে রাহুলের এই বক্তব্য প্রকাশের পরে কঠোর সমালোচনায় মেতে উঠেছে বিজেপি শিবির।
লন্ডনের এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী বলেছেন, “উনি কারুর কোনও কথাই শোনেননা।” বিরোধিদের মতামতের তোয়াক্কা না করাটাই প্রধানমন্ত্রীর একনায়ক সুলভ আচরণ বলে প্রতীয়মান, সেদিকে ইঙ্গিত করে রাহুল গান্ধী দেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে সচেতন করানোর চেষ্টা করেন।
রাহুলের বক্তব্যে ভারতীয় সংবিধানের ওপর আঘাতের অভিযোগ উঠে আসে। ভারতের গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে, এটাই কংগ্রেস নেতা বোঝাতে চেয়েছেন।
Ideas for India conclave-র এই বিবৃতিতে গান্ধী মিডিয়াকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। ভারত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার পাশাপাশি দেশের ক্ষমতায় থাকা দল সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে রাহুল গান্ধী উপমা দিয়ে বলেন, “বিজেপি সারা দেশে কেরোসিন ছড়িয়ে দিয়েছে। এ বার রাজ্যগুলির ক্ষমতা খর্ব করতে ইডি, সিবিআইকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। একটি আদর্শ ভারতের কণ্ঠস্বরকে রুদ্ধ করতে চাইছে।”
এই ভূমিকার বিরোধিতা করাটাকে আদর্শগত লড়াইয়ের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলেছেন রাহুল গান্ধী।
পাশাপাশি লাদাখে চিনের সংগঠিত হওয়ার বিষয়টিকে ইউক্রেনের অবস্থার আগাম পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধী। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের উদাসীনতা ভবিষ্যতে বড়সড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
অপরদিকে বিজেপির অভিমত,’রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্য দেশের মানুষেরই অপমান। রাহুল বিদেশে গিয়ে নিজের দেশকে হেয় করেছেন।’