সীমান্তের পরিস্থিতি চরম সংঘর্ষের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সংঘর্ষ বড় আকার নিতে পারে বলেই মনে করছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই আগাম সতর্কবার্তা শোনা গেল তাঁর গলায়।
যদিও সরাসরি নাম করেননি, তবু তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আঙুলটা চিনেরই দিকে উঠছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে সেনাপ্রধান নারাভানে বলেন, “দেশের উত্তর সীমান্তে যেসব কৌশল নিয়ে প্রতিবেশি দেশ প্রস্তুত হচ্ছে, তার মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত যোগ্য বাহিনী নিয়ে তৈরি থাকাটাই জরুরি।”
চিন-পাকিস্তানের আঁতাতকে একরকম লক্ষ্য করেই তিনি বলেছেন, “প্রতিবেশি দেশগুলি যেভাবে সীমান্তের বিতর্কিত এলাকাগুলোয় রাষ্ট্রের মদতে ছায়াযুদ্ধের আড়ালে নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বিস্তার করে চলেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। সেদিকে তাকিয়েই আমাদের যোগ্য বাহিনীকে প্রস্তুত রাখতে হবে।” পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে আধুনিক অস্ত্রও মজুত রাখার কথা বলেছেন সেনাপ্রধান।
বর্তমানে সেই অর্থে সংঘর্ষ না বাধলেও, এখনকার পরিস্থিতিকে তারই একটা ট্রেলার বলে উল্লেখ করেছেন সেনাপ্রধান নারাভানে। তিনি আরো বলেন, “বিধ্বংসী আক্রমণের জন্য অনেকক্ষেত্রেই সস্তার বিকল্পগুলিকে ব্যবহার করা হয়।”
সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যে আফগানিস্তানের দিকেই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিশেষ করে তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর চিনের বিপুল সমর্থন সেই দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করছে। উপরন্তু পাকিস্তানের মদত তো রয়েছেই। তাই আগে থেকেই চরম সংঘর্ষের জন্য সবরকম ভাবে প্রস্তুত থাকার দিকেই জোর দিয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।