ভরা দুঃসময়ে পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত বদলালেন কংগ্রেসের জি-২৩ বাহিনী। তার বদলে পার্টির অভ্যন্তরেই সংশোধনের বার্তা দিলেন বিক্ষুব্ধ নেতাগণ। এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেস সুপ্রিমো মেনে নিলে একটা ইতিহাস তৈরি হতে পারে এমনও দাবি করেছেন ২৩ নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, মনীশ তিওয়ারি, কপিল সিব্বল, আনন্দ শর্মা, পৃথ্বীরাজ চৌহান সহ কংগ্রেসের ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়েই একত্রে গঠিত জি-২৩ বাহিনী। বুধবার শশী থারুরকেও এই দলে থাকতে দেখা গিয়েছে।
বুধবারের অনুষ্ঠিত বিক্ষুব্ধ নেতাদের এই বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সংবাদ সূত্রে প্রকাশ। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্টি ছেড়ে ২৩ নেতা বেরিয়ে এলে কংগ্রেসের ভরাডুবি ত্বরান্বিত হওয়ার সম্ভাবনা, তাতে আখেরে কারুরই লাভের আশা নেই। উল্টে পার্টিতে থেকেই পার্টির ভেতরে কিছু পরিবর্তন আনতে চাইছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃবৃন্দ।
কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জি-২৩ র প্রতিনিধি হয়ে এই প্রস্তাব কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধীকে বিস্তারিত আলোচনা সহ জানাবেন বলেই ঠিক হয়েছে। কোন সে সিদ্ধান্ত? যা দলের অভ্যন্তরে যুগান্তকারী ইতিহাস তৈরি করবে বলে মনে করছেন এই নেতারা!
পরিবারতন্ত্র। যা কংগ্রেসের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত বিদ্যমান এবং নিন্দিত, সেই পরিবারতন্ত্রেরই আমূল বদল ঘটাতে চাইছেন বিক্ষুব্ধ জি-২৩ বাহিনী। কংগ্রেসের এতদিনকার আস্থাশীল উচ্চ নেতৃত্বদের দায়িত্ব পদ থেকে সরিয়ে দেবার দাবি জানাবেন তাঁরা। গান্ধী পরিবারের কেউ দায়িত্ব পদে থাকবেননা, এটাই ২৩ মূর্তির প্রাথমিক দাবি। কিন্তু সনিয়া গান্ধী কি এই সিদ্ধান্তে আদৌ সহমত হবেন? বড় প্রশ্নটা রয়েছে সেখানেই।