আগামী ১৫ দিন রাজ্যবাসীকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শ দিয়ে গতকাল নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “করোনা আক্রান্ত সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমি নিজেই জানিনা কার কার কোভিড হয়েছে। ৩ দিন জ্বর থাকছে, ৭দিন আইসোলেশনে থাকতে বলছে কেন্দ্র। পুলিশের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্তারাও আক্রান্ত হয়েছেন। সাবধানে থাকুন, খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বেরোবেননা।”
ওদিকে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “হিন্দুবিরোধী তকমা থেকে নিজেকে বাঁচাতেই গঙ্গাসাগর মেলা করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।” প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের দাবি করে আদালতে মামলা করেছিলেন ডাক্তার অভিনন্দন মন্ডল। তবে শীর্ষ আদালতকে স্পষ্টতই রাজ্যসরকার জানিয়েছে, কোভিড বিধি মেনেই সাগরমেলা চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে বিপদ বেশি ছড়াবে বলেই মনে করছে বিরোধী দল বিজেপি।
গঙ্গাসাগর মেলায় কোভিড নিয়ন্ত্রণের সমস্ত বন্দোবস্ত রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্যসরকার। পাশাপাশি কলকাতায় কিছু কিছু জায়গায় মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করা হলেও, রাজ্যবাসীকে বারবার সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সামান্য জ্বরে ভয় পাবেননা। খাওয়াদাওয়া ভালো করে করুন। প্রশাসন জোর করে ফাইন করে মাস্ক পরালে ঠিক হবেনা, নিজেদেরই মাস্ক পরার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক করব।”
সেইসঙ্গে রাজ্যবাসীকে নিশ্চিন্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “৩২ হাজারের বেশি বেড তৈরি আছে। ১০ কোটি ৭৭ লক্ষের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ৪০ শতাংশ মানুষ এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেননি। কিছু এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দিন। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কঠিন পদক্ষেপ করতে হবে।”