মঙ্গলবারের বৈঠকেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, “দুপুরের স্কুলগুলির সময় সকালের দিকে পরিবর্তিত করে নেওয়া হবে।” সেইমতো জেলাশাসক ও স্কুল পরিদর্শকদের চিঠিও পাঠানো হয়। প্রাথমিক স্কুলগুলি যাতে সকালে খোলা যায়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তেমন সিদ্ধান্তই নেওয়ার কথা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই গরমের ছুটিও এগিয়ে আনার কথা ঘোষণা করলেন মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবছর গ্রীষ্মের সূচনাতেই তীব্র দহনে অতিষ্ঠ মানুষজন। ৪০ ছোঁয়া তাপমাত্রায় গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা ও ক্লাস করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তবে স্কুলের সময় ও ছুটি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এটাও স্মরণ করিয়ে বলেছিলেন, “অতিমারীর কারণে দু’বছর বন্ধ থাকার পর পড়ুয়াদের স্বাভাবিক পড়াশোনার অভ্যাস ফিরে এসেছে। সেটাও ভেবে দেখতে হবে।”
সেই অনুযায়ী আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়ার হাল বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছিল শিক্ষামন্ত্রক। কিন্তু, প্রচন্ড গরমের এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের একাংশই ছুটির জন্য আবেদন জানাচ্ছিলেন। সেসব দিক বিবেচনা করে আগামী ২ মে থেকেই স্কুল-কলেজগুলিতে গরমের ছুটির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এক প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীনই তিনি শিক্ষাদপ্তরকে এই নির্দেশ দেন।
বুধবার বিকাশ ভবনের এই বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও অন্যান্য আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “গরমে লু সবাই সহ্য করতে পারছে না। অনেকের তো নাক থেকে রক্তও পড়ছে। তোমাদের অসুবিধা না থাকলে বলব ২ মে থেকে গরমের ছুটিটা দিয়ে দাও। প্রাইভেট স্কুলকেও বলো স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি দাও।”
এরপরেই ছুটি এগিয়ে আনার কথা বিবেচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে পড়ুয়াদের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।