মসজিদ থেকে লাউড স্পিকার সরিয়ে নেবার জোরালো দাবি তুললেন ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’ (MNS)-র সুপ্রিমো রাজ ঠাকরে। অবিলম্বে এই দাবি পালিত না হলে পাল্টা পদক্ষেপের ও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, মাইক না সরালে এবার হিন্দুরাও মাইকে হনুমান চালিশা বাজানো শুরু করে দেবেন। সেটা হিন্দুরা করতেই পারেন, কিন্তু এর সাথে মসজিদে মাইক বাজানোর প্রতিবাদের সম্পর্ক কোথাায়? সেই নিয়েই তোলপাড় উঠল মারাঠি হাওয়ায়।
মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের একটি সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে শনিবার রাজ ঠাকরে বলেন, “মসজিদের বাইরে লাউড স্পিকারের প্রয়োজন কী? যখন ওই ধর্মের প্রচার শুরু হয়েছিল তখন কি লাউড স্পিকার ছিল?”
এই প্রশ্নগুলি তুলে রাজ ঠাকরে আরো জানান, “আমি কোনও ধর্মের বিরোধী নই, কিন্তু নিজের ধর্ম নিয়ে আমি গর্ববোধ করি।”
তবে রাজ ঠাকরে যতই বলুন ‘কোনও ধর্মের বিরোধী নই’, তাঁর সামগ্রিক কথাবার্তা সেই মন্তব্যকে প্রতিফলিত করছেনা। শিবাজি পার্কে এদিনের অনুষ্ঠানটি ছিল মারাঠিদের নববর্ষ। আর এই অনুষ্ঠানের মঞ্চটিকেই ঘোষিত ভাবে হিন্দুত্ব প্রচারের মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছেন রাজ ঠাকরে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদনের ভঙ্গিতে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলির প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, “এইসব বস্তিতে পাকিস্তানের সমর্থকরা বাস করেন।” যদিও এই রাজ ঠাকরেই উল্টো দাবি করে বলেছেন, “জাতপাতের রাজনীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।” বিষয়টির মধ্যে স্ববিরোধ লক্ষ্য করা যায়।
এদিন উত্তরপ্রদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে MNS সুপ্রিমো রাজ ঠাকরে বলেন, “উত্তরপ্রদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়। মহারাষ্ট্রেও আমরা এইরকম উন্নয়ন চাই।” এই বক্তব্যের পাশাপাশি অযোধ্যায় গিয়ে হিন্দুত্ববাদ প্রচারের ফলাও ঘোষণা করেছেন রাজ ঠাকরে।