পাকিস্তানে সুরক্ষা বজায় থাকছেনা সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের। চরম নিপীড়নের শিকার হচ্ছে তারা। সম্প্রতি এক শিখ ব্যক্তির উপর শারীরিক নিগ্রহকে কেন্দ্র করে জোরালো অভিযোগ তুলল ‘ইন্ডিয়ান ওয়র্ল্ড ফোরাম’ নামক একটি সংস্থা।
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর মুসলিম মৌলবাদীদের অত্যাচারের কারণে বহুসংখ্যক শিখ ও হিন্দু পালিয়ে এসে ভারতে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন, এমনটাই দাবি করে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চাইছে ‘ইন্ডিয়ান ওয়র্ল্ড ফোরাম।’ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি তুলে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি লিখলেন এই সংস্থার সভাপতি পুনিত সিং চান্ডক।
চিঠিতে তিনি লেখেন , “পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। সংখ্যালঘুরা পাকিস্তানে চরম নির্যাতন ও অন্যায়ের শিকার। বিশেষ করে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ , যাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো, তাদেরকেই নিশানা করা হচ্ছে।” চিঠিতে সাম্প্রতিক শিখ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির ওপর নিগ্রহের কথাটিও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন পুনিত সিং চান্ডক।
কিছুদিন আগেই খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অন্তর্গত পেশোয়ারে পাপিন্দার সিং নামক এক শিখ ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি মুসলিম মৌলাদীদের দ্বারা নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলে জানায় ‘ইন্ডিয়ান ওয়র্ল্ড ফোরাম’।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে হিন্দু ও শিখদের ওপর আক্রমণের কথাও প্রসঙ্গক্রমে এসে পড়ছে। যেমন ২০১০ সালে পেশোয়ারের অধিবাসী যশপাল সিংকে কিডন্যাপ করে গলা কেটে নিষ্ঠুর হত্যা, ২০১৬ সালে প্রাদেশিক আইনসভার এক মেম্বার মৌলবাদীদের গুলির শিকার হওয়া, ২০১৮ সালে চরণজিৎ সিং সাগর হত্যা — প্রভৃতি ধারাবাহিক হামলার ঘটনার কথাও উঠে আসে।
এছাড়া অসংখ্য খ্রিস্টান ও হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ঘটনাগুলিও আকছার ঘটে চলেছে, যার ফলে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ক্রমশই বিঘ্নিত হয়ে চলেছে বলেই মনে করছেন একাংশ।