শ্রীলঙ্কার উদাহরণ তুলে ধরে এর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ…।” এবার প্রায় এক সুরেই কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়ার পরিস্থিতির সাথে চিন-ভারত সম্পর্কের সম্পর্কের তুলনাও করেছেন তিনি।
প্রবল অর্থনৈতিক সংকটের কবলে শ্রীলঙ্কা। সেই সূত্র ধরেই রাহুল গান্ধী বলেন, “গত দুতিন বছর ধরে সংবাদমাধ্যম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিজেপি নেতা এবং আরএসএস একজোট হয়ে সত্য গোপন করে আসছে। কিন্তু সত্য সামনে আসবেই। যেমন শ্রীলঙ্কায় এসে গিয়েছে।”
রাহুল গান্ধীর মতে, “ভারত আগের মতো আর ঐক্যবদ্ধ নেই। বিভিন্ন গোষ্ঠীতে দেশকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরেই একাধিক দেশ তৈরি করা হয়েছে। সবাইকে পরস্পরের বিরুদ্ধে ওস্কানো চলছে। এখান থেকেই হিংসার সূত্রপাত হয়।” এই চিত্র সামনে আসার জন্য দুতিন বছর অপেক্ষা করতে বলেছেন রাহুল।
ইউক্রেন রাশিয়ার উদাহরণ তুলে রাহুল বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করেনা। ‘ডনবাস রিজিওন’ অঞ্চলদুটিকে ইউক্রেনের অংশ বলে মেনে নিতে রাশিয়া নারাজ। সেকারণেই যুদ্ধ। কিন্তু মূল উদ্দেশ্যটা কী? ন্যাটো-ইউক্রেন আমেরিকার জোট ভেঙে ফেলা।” রাহুলের দাবি, “ভারত সম্পর্কেও একই নীতিতে এগোচ্ছে চিন।
চিন বলতে চাইছে অরুনাচল ও লাদাখ ভারতের অংশ নয়। এই যুক্তি তুলে সেখানে তারা সেনা মোতায়েন করছে। এই বিষয়টাকে হালকা করে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের দৃষ্টান্ত আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। যা আমাদের দেশেও যেকোনো সময়ে প্রয়োগ করা হতে পারে।”
তাই সময় থাকতেই কেন্দ্রকে সামলানোর পরামর্শ দিলেন রাহুল। ভারতে ভেঙে পড়া কর্মসংস্থানের পরিকাঠামোর উল্লেখ করে খুচরো ব্যবসায়ী, দোকানদার ও অসংগঠিত শ্রমিকদের কথা কেন্দ্রকে বিশেষভাবে চিন্তা করতে পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।