স্মার্টফোন ছাড়া বর্তমান জীবনযাপন ভাবাই যায়না। ব্যস্ততম সময় থেকে বিশ্রামের অবসর, স্মার্টফোন সবসময়ই অ্যাকটিভ। কিন্তু যন্ত্রেরও তো এনার্জি দরকার! সেই এনার্জি আসে ব্যাটারিতে ইলেকট্রিক চার্জের মাধ্যমে। কিন্তু চার্জ দিতে গিয়ে অনেকেই বহুক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হন।
ঘন্টাভর চার্জার লাগিয়েও দেখা যায় ঠিকমতো চার্জ হচ্ছেনা। চার্জ হলেও তাড়াতাড়ি চার্জ ফুরিয়ে ব্যাটারি ডাউন। কী করবেন সেক্ষেত্রে? কী উপায়ে আপনার স্মার্টফোনকে চটজলদি এনার্জিতে ভরপুর করে তুলবেন? তার কয়েকটি নিয়ম এবং পদ্ধতি জেনে রাখা দরকার।
প্রথমত, চার্জার ব্যবহারের আগে স্মার্টফোনটি কত ওয়াট অবধি চার্জিং গ্রহণ করতে পারে সেটা জানা দরকার। তার সাথে সাযুজ্য রেখে চার্জার কিনুন। তবেই ঠিকঠাক চার্জিং সম্ভব।
লোকাল চার্জার নয়, একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও ব্র্যান্ডেড চার্জার কিনে ব্যবহার করুন। এতে চার্জ তাড়াতাড়ি হবে, পাশাপাশি ব্যাটারির ক্ষতিও কম হবে।
অফিস কিংবা অন দ্য ওয়ে থাকার সময়ে অনেকেই গাড়ি বা ল্যাপটপ জাতীয় ডিভাইসে ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে ফোন চার্জ করতে বাধ্য হন। এভাবে চার্জ না দেওয়াই ভালো। এর চাইতে দেয়ালের সকেট অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে।
প্রায়শই ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু জিনিস অ্যাকটিভ আবস্থায় থেকে যায়। চার্জ দেওয়ার সময়ে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, নেট চালু রয়েছে কিনা দেখুন থাকলে অবশ্যই সেগুলি অফ করে দিন। সবচাইতে সঠিক নিয়ম হলো –ফোনের সুইচ অফ করে চার্জ দেওয়া।
এছাড়াও ফোনের কিছু অ্যাপস অ্যাক্টিভ মুডে থেকে গেলেও চার্জ হতে দেরি হয় বা দিলেও তাড়াতাড়ি চার্জ গবেষণা হয়ে যায়। তাই চার্জ দেওয়ার সময়ে আপনার স্মার্টফোনের অ্যাপ সহ বিভিন্ন অ্যক্টিভিটিগুলো চালু ন রেখে নিষ্ক্রিয় করা জরুরি। মোটামুটি এই কয়েকটি বিষয় মনে রাখলেই চটপট চার্জ নেবে এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত এনার্জি ধরে রাখতে পারবে আপনার আদরের ও অত্যন্ত দরকারি স্মার্টফোন।