প্রতিবারের মতো এবারেও চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পূজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সঙ্গে ছিলেন। মন্দিরে পূজো দিয়ে নিজের মানবিক দিকটির কথাবার্তা বারংবার উচ্চারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজনীতির বাইরেও আমি তো একটা মানুষ। আমার মানবিক ধর্মেই মায়ের কাছে প্রার্থনার জন্য মন্দিরে আসি।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মমতা আরো জানান, “আজ প্রথমবার নয়। বহুদিন হয়ে গেল কালীপূজো, পয়লা বৈশাখের আগের দিন আমি মায়ের মন্দিরে আসি। মায়ের কাছে বাংলার সকল মানুষের জন্য শুভকামনা জানিয়ে যাই। শান্তি প্রার্থনা করি। সংহতি প্রার্থনা করি। সবাই ভালো থাকুন এটা বলতেই মায়ের কাছে প্রত্যেকবার আসি। যতদিন বাঁচব ততদিন আসব।”
বাংলার মানুষের কল্যাণই যে একমাত্র ধ্যানজ্ঞান এটা জানানোর পাশাপাশি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেও ভোলেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাট মন্দিরে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, “আপনারা জানেন ঈদের সময়ে আমি রেডরোডে নামাজে যাই, বড়দিনে চার্চে যাই। আবার গুরুদ্বারেও যাই আমি। গঙ্গাসাগরেও যাই। এই কাজগুলি আমাদের ধর্ম-সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে।”
মমতার সংযোজন, “রাজনীতি যেমন রাজনীতির জন্যে তেমনি মানুষের সেবা করার জন্যেও। মায়ের কাছে আসার উদ্দেশ্যই হলো মানবিকতার জন্য। যাতে মানবিকতা ভালো থাকে। যাতে সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হয়।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কয়েকটি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তির্যক সমালোচনার শিকার হচ্ছেন। রামপুরহাটের অগ্নিকাণ্ড, হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ ও মত্যু, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ছাত্রনেতার অশ্রাব্য গালিগালাজ –সবকটি ইস্যুতেই আঙুল উঠতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। এদিন কালীঘাট মন্দিরে দাঁড়িয়ে সেকারণেই কি বারবার নিজের মানবিক আবেদনের কথা উল্লেখ করে বাংলার মানুষের কাছে বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!