বুধবার বাজেট অধিবেশনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য পেশ করতে যেতেই বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। দুই বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করার বিরুদ্ধেই এই বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার সময়েই ওয়েলে নেমে বিরোধী বিজেপির বিধায়কদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার দাবিতে সোচ্চার বিক্ষোভ পাশাপাশিই চালাতে থাকে। এর ফলে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার ছবি ফুটে ওঠে বিধানসভায়।
৭মার্চ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্যায়ে তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রস্তাবনায় দুই বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে বিশৃঙ্খলা তৈরির কারণে ধ্বনিভোট নিয়ে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সাসপেনশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ফলে অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায় উত্তাল হয়ে ওঠে। এতে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমেননি। বিক্ষোভ চলাকালীনই তিনি বক্তব্য রাখতে ওঠেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিধানসভার অধিবেশন কক্ষের সংস্কৃতি নষ্ট করছেন বিজেপি বিধায়করা। বিধায়করা নিজেদের জায়গাতেই হেরেছেন, হেরে গিয়েও তাঁদের লজ্জা নেই।”
বিধায়কদের সাসপেনশন প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যসভায় আমাদের অনেক সদস্যকে সাসপেন্ড করে রেখেছে। যেখানে একটা ভোটও ম্যাটার করে।” মমতা প্রশ্ন তোলেন, “দিল্লী এক আর বাংলায় আরেক? আমাদের সাংসদদের সাসপেন্ড করেছে, তাহলে বাংলা কেন ব্যতিক্রম হবে?”
এদিন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের বক্তব্য চলাকালীনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিরোধীরা। এমনকি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারির তর্ক বেঁধে যেতে রেখা গিয়েছে। যদিও সাসপেন্ড হওয়া দুই বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি।