যে রাজ্যে সন্ন্যাসীর মহিমায় অপরাধীরা পগার পার, সেই উত্তরপ্রদেশে আবারো ঘটল দলিত নাবালিকার ধর্ষণ।
ঘটনাস্থল এবার ফতেপুর। আবার ধর্ষণ ও মৃত্যু। উত্তরপ্রদেশে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হল। চাঁদপুরের অধিবাসী ১৫ বছর বয়সী এক দলিত শ্রেণীর কিশোরীকে সেই গ্রামেরই এক যুবক ধর্ষণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত্তিরে ঘটে। আর পরেরদিন অর্থাৎ বুধবার কিশোরী মেয়েটি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
এর কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে একটি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। কেবল তাই নয়, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ লেখাতে গেলে থানার মধ্যেই স্টেশন হাউস অফিসার তিলকধারী সরোজ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ২২ এপ্রিল ওই গ্রামের এক নাবালিকা মেয়েকে কাজের লোভ দেখিয়ে ভোপালে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে গ্রামে ফেলে দিয়ে যায় একদল পুরুষ। থানায় সেই অভিযোগ জানাতে গিয়ে আবারো ধর্ষণ। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ঘটে গেল ফতেপুরের ধর্ষণের ঘটনা।
ধর্ষিতা ও মৃতার বাবা মায়ের অভিযোগ অনুযায়ী ধর্ষণের মামলা দায়ের করে যুবকটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফতেপুর থানার পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ।
ঘটনার সূত্র ধরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রামে পাশের জঙ্গলে প্রাতকৃত্য সারতে গিয়ে বহুক্ষণ বাড়ি ফেরেনি মেয়েটি। ফলে বাড়ির লোক খোঁজখুঁজি শুরু করেন । এর পর পাশের জঙ্গলে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।’’
ধর্ষণের অপমান ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি পরের দিন সকালেই কীটনাশক খেয়ে ফেলে। মারা যাওয়ার আগে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন ধর্ষকের নাম বলে গিয়েছিল মেয়েটি। তার ভিত্তিতেই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তবে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে পুলিশের ন্যক্কারজনক ভূমিকা, আইন শৃঙ্খলার চরম অবমাননা মৃতার পরিবারকে আদৌ কি কোনো ন্যায়বিচার দিতে পারবে! শাস্তি পাবে কি মূল অভিযুক্ত? সেব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থেকে যাচ্ছে না কি?