৩ জানুয়ারি কাশ্মীরের উপত্যকায় শ্রীনগর পুলিশের গুলিতে নিহত লস্কর-ই-তইবা সংগঠনের এক কুখ্যাত জঙ্গি প্রধান। গতকাল সংবাদসংস্থা এএনআই (ANI)-র ট্যুইটার হ্যান্ডেলে খবরটি নিশ্চিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিহত জঙ্গি প্রধানের নাম সেলিম পারে।
এছাড়াও গণমাধ্যমে জানা গিয়েছে, একই সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের অনেকগুলি জায়গায় অভিযান চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। জম্মুর অন্তর্ভুক্ত আর্নিয়া সেক্টরে একজন সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়। শনিবার কুপওয়ারায় পাকিস্তানের Border Action Team-এর সাথে ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নিহত সন্ত্রাসবাদীর নাম মহম্মদ শাব্বির। এরপর সোমবার
পাকিস্তানের অস্ত্র পাচারের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে হাতেনাতে অস্ত্র উদ্ধার করে বিএসএফ বাহিনী। সন্দেহ করা হচ্ছে প্রায় একই সময় ষড়যন্ত্রমূলক উদ্দেশ্যে জম্মু-কাশ্মীরের ভারতীয় সীমান্তে একাধিক পরিকল্পনায় হানা দিয়েছিল পাক সন্ত্রসীরা। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতায় তারা শেষমেশ পর্যুদস্ত হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ৬ জন বিচ্ছিন্নতাকামীকে শনাক্ত করে শেষ করেছিল ভারতের সেনাবাহিনী। অনন্তনাগ ও কুলগ্রাম এলাকার দুটি গ্রামে সশস্ত্র অভিযান শুরু হয়।
শুরুতেই ভারতীয় সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা হয় ৩ জন সন্দেহভাজন, এরপর গ্রামের ভেতর প্রবেশ করে অপর ৩ জনকে শনাক্ত করে গুলি করা হয়। আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ‘দুটো আলাদা এনকাউন্টারে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জিইএম-এর ৬ জন উগ্রবাদী নিহত হয়েছে। এটা আমাদের কাছে বিরাট সফলতা।’