হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু মন্তব্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “মেয়েটির সাথে ছেলেটার অ্যাফেয়ার্স ছিল। ধর্ষণ নাকি অন্তঃসত্ত্বা ছিল নাকি অন্য কারণে মৃত্যু বুঝব কীকরে?” এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ককেই আরও খানিকটা উস্কে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, “দাহ আটকাতে পারলেননা কেন মুখ্যমন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রী জানলেন কীকরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল?” এইসকল প্রশ্নের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিকে “অত্যন্ত নিম্নরুচির বিবৃতি” বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, আশ্চর্যজনকভাবে এই ঘটনায় ‘মিডিয়া’-র পক্ষ সমর্থন করেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিবৃতির একটি জায়গায় উল্লেখ করেন, “একটা ইঁদুর মারা গেলেও মিডিয়া খবর করছে।” এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “রামপুরহাটের বগটুইয়ের ঘটনায় যেমন বিচারব্যবস্থাকে হুমকি দিয়েছিলেন, আজ সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভ (media) -কে হুমকি দিলেন। রামপুরহাট, ঝালদা, আনিস খান, পানিহাটির বিধায়ক খুন যদি ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে এরাজ্যে নর্থ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মতো কেউ একজন শাসন করছে।”
প্রসঙ্গত, হাঁসখালির ঘটনায় তৃণমূল নেতার পুত্র জড়িত থাকায় তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতি আঙুল তোলার বিরোধিতা করে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, “কারুর বাবা-কাকা-দাদা যদি তৃণমূল করে আর সেই ছেলে যদি প্রেম করে তাহলে কার কী করার আছে? বাংলায় সবাই তৃণমূল। তৃণমূলকে নিয়ে টানাটানির কী আছে? তৃণমূল কি কাউকে কিছু শিখিয়ে দেয়?” একইসঙ্গে মমতার দাবি, “ঘটনাটি অত্যন্ত খারাপ। পুলিশ তদন্ত করছে। ছেলেটি গ্রেপ্তারও হয়ে গেছে। তদন্তে কোনও রঙ দেখা হবেনা।”