চপ-তেলেভাজার দোকান দেওয়া এমন কিছু নিষিদ্ধ বা নিন্দনীয় ব্যবসা নয়, অথচ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চপের দোকান দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে একসময় প্রচুর শোরগোল পড়ে গেছিল বাংলায়। তৃণমূল বিরোধী নেটিজেনদের পরিচিত খিল্লিই হল ‘চপশিল্প!’
আর এবার বাঁকুরার বিজেপি বিধায়ক নিজেই প্রকাশ্যে এর প্রশংসা করে পাড়ার দোকানে চপ-বেগুনি ভাজায় অংশ নিলেন। তেলেভাজা ভাজলেন নিজের হাতে, একের পর এক ঠোঙায় মুড়ে তুলেও দিলেন কাস্টমারদের হাতে। আর এই কাজ করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগান করলেন বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। কিন্তু হঠাৎ এই কান্ডের পেছনে কারণ কী?
আসলে দলের নতুন নিযুক্ত জেলাসভাপতি নীলাদ্রিশেখরের পছন্দের পাত্র নন। তাঁকে নিয়ে মতবিরোধের জেরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহকে চিঠি পর্যন্ত লিখেছিলেন। এবার সেই নীলাদ্রিশেখরই মমতার বার্তা অনুসরণ করে চপ ভেজে দলের বিরদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাইলেন কি!
বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর জানান, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে চপশিল্পের কথা বলেছিলেন। অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এখন চপ, বেগুনির দোকান দেখলেই লোভ সামলাতে না পেরে চপ ভাজতে বসে যাই। আমি কাজপাগল মানুষ। ঘরে বসে থাকা আমার পক্ষে কষ্টকর। দুদিন অসুস্থ থাকায় বাড়িতে ছিলাম। আজ বেরিয়ে পাড়ার দোকানে চপ ভাজতে বসে গেলাম।”
চপ দেখলে খাবার লোভ অনেকেরই হয়, তবে তা দেখে ভাজার লোভেও কেউ যে আকৃষ্ট হতে পারেন তার একমাত্র নজির এই বিজেপি বিধায়ক। তবে তাঁর এই কর্মোদ্যোগকে খুশীমনে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী।
তিনি বলেছেন,”মুখ্যমন্ত্রীর কথা অন্তর থেকে গ্রহণ করেছেন ওই বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দল তাঁকে এর জন্য কী বলবে জানিনা। তবে আমি তাঁকে এই কাজের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।”